হে আমার বাংলা ভাষা ।
তুমি আমার মায়ের ভাষা
সাধের আশা, ভালবাসা ।
তুমি খ্যাপা বাউলের গান,
তুমি মঙ্গল কাব্যের আখ্যান ।
তুমি গৌর হরির কীর্তন,
তুমি মহানামের উচ্চারণ ।
তুমি রামকৃষ্ণের বাণী,
তুমি বঙ্কিম শরত কাহিনী ।
তুমি বীর নজরুলের হুঙ্কার,
তুমি লালন গীতির টঙ্কার ।
তুমি রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি,
তুমি কবিগান, তুমি পাঁচালি ।
তুমি ঋত্তিক-মৃণাল-সত্যজিতের চিত্র,
তুমি ওঙ্কার, তুমি তর্পণ, তুমি স্তোত্র ।
তোমাতে মায়ের স্নেহ চুম্বন,
প্রিয়ার নিভৃত স্পন্দন ।
তোমাতে অনুরোধ তোমাতে উপরোধ
তোমাতে মৈত্রী তোমাতেই বিরোধ ।
তোমাতে বিবাদ তোমাতে কোন্দল
তোমাতেই আবার মিলনের হিন্দোল ।
তুমি অভিমান তুমি উচাটন
তুমি সম্পর্কের সাতকাহন ।
সবিই তোমার মহিমায়,
সবিই তোমারি অঞ্চল ছায়ায় ।
তোমাতেই প্রথম 'মা' ডাকা,
তোমাতেই প্রথম চোখে জীবনের স্বপ্ন আঁকা ।
তোমাতেই প্রথম ব্যথার অভিব্যক্তি,
প্রথম সুখের প্রথম অনুভূতি ।
তোমাতেই প্রথম চোখে চোখ রেখে হৃদয়ের কথা বলা,
তোমাতেই ভাবের ডালি খোলা ।
তোমাতেই মাঝি মোল্লাদের গান,
তোমাতেই ভাটি তোমাতেই উজান ।
তোমাতেই ভোরে আগমনীর সুর,
তোমাতেই হয় শারদ অবসান বেদনা-বিধূর ।
তোমাতেই জনমে উল্লাসের রোল,
তোমাতেই বুক ভাঙ্গা হরির বোল ।
তোমাতেই জনম, তোমাতেই জীবন,
তোমাতেই কৃষ্টি, তোমাতেই মনন ।
কত সাধ নিয়ে বলেছি তোমাতে কত কথা,
লিখেছি কত সুখ কত ব্যথা ।
তোমাতে বুনে শব্দ জাল,
খুলেছি সকল বন্ধ দার ।
তোমাতে জ্বেলে জ্ঞান-মশাল,
ঘুচিয়েছি মনের অন্ধকার ।
কত কিছু পেয়েছি ওগো তোমার চরণ তলে,
তাই পরিয়ে দিলাম এই শ্রদ্ধার মালা তোমারই গলে ।
শেষ কথা টুকু
বলতে চাই হাত দুখানি তুলে
তোমার কোলে জন্মেছি গো
যেন মরি তোমার কোলে ।
শুধু এত টুকু আমার তুচ্ছ অভিলাষা,
ওগো আমার বাংলা ভাষা ।
আমার সাধের আশা, ভালবাসা ।
তুমি আমার মায়ের ভাষা
সাধের আশা, ভালবাসা ।
তুমি খ্যাপা বাউলের গান,
তুমি মঙ্গল কাব্যের আখ্যান ।
তুমি গৌর হরির কীর্তন,
তুমি মহানামের উচ্চারণ ।
তুমি রামকৃষ্ণের বাণী,
তুমি বঙ্কিম শরত কাহিনী ।
তুমি বীর নজরুলের হুঙ্কার,
তুমি লালন গীতির টঙ্কার ।
তুমি রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি,
তুমি কবিগান, তুমি পাঁচালি ।
তুমি ঋত্তিক-মৃণাল-সত্যজিতের চিত্র,
তুমি ওঙ্কার, তুমি তর্পণ, তুমি স্তোত্র ।
তোমাতে মায়ের স্নেহ চুম্বন,
প্রিয়ার নিভৃত স্পন্দন ।
তোমাতে অনুরোধ তোমাতে উপরোধ
তোমাতে মৈত্রী তোমাতেই বিরোধ ।
তোমাতে বিবাদ তোমাতে কোন্দল
তোমাতেই আবার মিলনের হিন্দোল ।
তুমি অভিমান তুমি উচাটন
তুমি সম্পর্কের সাতকাহন ।
সবিই তোমার মহিমায়,
সবিই তোমারি অঞ্চল ছায়ায় ।
তোমাতেই প্রথম 'মা' ডাকা,
তোমাতেই প্রথম চোখে জীবনের স্বপ্ন আঁকা ।
তোমাতেই প্রথম ব্যথার অভিব্যক্তি,
প্রথম সুখের প্রথম অনুভূতি ।
তোমাতেই প্রথম চোখে চোখ রেখে হৃদয়ের কথা বলা,
তোমাতেই ভাবের ডালি খোলা ।
তোমাতেই মাঝি মোল্লাদের গান,
তোমাতেই ভাটি তোমাতেই উজান ।
তোমাতেই ভোরে আগমনীর সুর,
তোমাতেই হয় শারদ অবসান বেদনা-বিধূর ।
তোমাতেই জনমে উল্লাসের রোল,
তোমাতেই বুক ভাঙ্গা হরির বোল ।
তোমাতেই জনম, তোমাতেই জীবন,
তোমাতেই কৃষ্টি, তোমাতেই মনন ।
কত সাধ নিয়ে বলেছি তোমাতে কত কথা,
লিখেছি কত সুখ কত ব্যথা ।
তোমাতে বুনে শব্দ জাল,
খুলেছি সকল বন্ধ দার ।
তোমাতে জ্বেলে জ্ঞান-মশাল,
ঘুচিয়েছি মনের অন্ধকার ।
কত কিছু পেয়েছি ওগো তোমার চরণ তলে,
তাই পরিয়ে দিলাম এই শ্রদ্ধার মালা তোমারই গলে ।
শেষ কথা টুকু
বলতে চাই হাত দুখানি তুলে
তোমার কোলে জন্মেছি গো
যেন মরি তোমার কোলে ।
শুধু এত টুকু আমার তুচ্ছ অভিলাষা,
ওগো আমার বাংলা ভাষা ।
আমার সাধের আশা, ভালবাসা ।
No comments:
Post a Comment