Sunday 30 December 2012

শুভদৃষ্টি

লাজে নত নয়ন যুগল প্রিয়ের পানে চায়,
যেমন চায় সূর্যমুখী সূর্যের পানে হায় ।
শাঁখ উলুধ্বনি মাঝে সরে যায় পান,
যেন ভোরের কুয়াশা সরে গিয়ে হয় অরুনের দরশন;
সানাইয়ে মিলন রাগের মূর্ছনা দুই হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়,
যেন ঝুলনের আবেশে দোলে কৃষ্ণ, দোলে রাই ।
দ্যুলোক থেকে হয় পুষ্পবৃষ্টি,
হয় চার চক্ষুর মিলন, হয় শুভদৃষ্টি ! 

  

বিয়ের পথে

মাথায় টোপর,
চন্দন সাজে মুখমন্ডল,
পরনে ধুতি পাঞ্জাবি;
মুখে মধু মাখা মৃদু হাঁসি,
দ্যুতি ঝরা কলেবর,
অন্তরে ধরে প্রিয়ার মুখখানি
বিয়ের পথে বংশীধর !
সঙ্গে চলে বরযাত্রী, বাজনায়ালার দল
আর চলে  চলে নীত-বর!

পরিণয়

এই মধু রাতে
দুটি নদী মিশেছে আজ জীবনের মোহনাতে ।
তরী ভরে নিও কলি,
কন্টক সব করে নিও কন্ঠহার,
ভেসে যেও দুজনে অসীম সুখের পানে,
মিলনের  গানে গানে !

বাসর

মিলন বাসরে জেগে রয় দুটি মন;
আজ শুধু একই সুরে গান বাঁধা,
একই রাগে সুর সাধা,
আগামী দিনের মধুর হাতছানি,
রঙিন স্বপন দেখে দু নয়ন ।

হাতে হাত চোখে চোখ,
যেন নিঃশব্দে কথা বলে নীরবতা--
"তোমার সব চোখের জল আমি আপন করে নিলাম,
আমার সব টুকু সুখ তোমায় উজাড় করে দিলাম !
শুধু আমার হৃদয় খানি রেখো সযতনে, নিজের মনের কোণে |"

রজনীগন্ধার মাতাল আবেশে দোলে দুই প্রদীপ শিখা,
বয়ে যায়  মধু যামিনী,
ঝরে অবিরাম অমল জ্যোত্স্না ধারা,
ফোটে পারিজাত, ফোটে প্রণয়ের প্রথম কলি;
মিলন ছন্দে বাজে এসরাজ,
বাজে মধুবন্তী, বাজে ঈমন ।।।