Friday 24 November 2017

শুভ পরিণয় : অয়ন দা

অবশেষে এলো দেখো
সেই শুভদিন ।

একাকী জীবনান্তে
হবে নব-সূর্যোদয়
অয়ন-বাবুর হবে
যেদিন শুভ পরিণয় ।

বুকের মাঝে হুহুকার
ইতি উতি নয়ন
গৃহিণীর কড়া হাতে
আপনি হবে পালন ।

অবশেষে হবে সব
জারিজুরি শেষ
হবে তুমি (সবার মত)
পত্নী-নিষ্ঠ মেষ ।
জগৎ সংসার করুক
(হয়েছে) বেশ বেশ ।
তারই মাঝে হবে দেখো
চেতনার উন্মেষ ।
দুয়ে মিলে জীবন তরীর
বাইয়ো দাঁড়
সব বাধা করে ফেলো
হেলায় পার ।

ওই বাজে উলূ ধ্বনি
ওই বাজে কাঁসর
ফুলে ফুলে ভরে উঠুক
তোমাদের জীবন বাসর ।
শুভ বিবাহের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই । তোমাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসুক, আসুক প্রাপ্তির আনন্দ । যেতে পারলে তোমার চেয়ে বেশি আমিই খুশি হোতাম ! FIRE-এ কিছুটা ঘোলের স্বাদ পাবো আশা করি ।

--
কৃপা

শুভ জন্মদিন প্রসেনজিত-দা

জনক pro-বুদ্ধ
কোশল নরেশ, 
তৎতনয় প্রবুদ্ধ
রূপে গুণে বেশ ।
স্নেহডোরে আবদ্ধ,
কুঞ্চিত কেশ,
চেতনা সম্বুদ্ধ,
সৌমকান্তি বেশ ।

পিতা-পুত্রে সমৃদ্ধ
ধন্য এদেশ,
দ্বিরত্নে উদ্বুদ্ধ,
উৎফুল্ল আবেশ ।।

পিতার অঙ্কুরোদ্গমন দিবসে, কিশলয় পুত্রের মহা-মহীরুহ হওয়ার প্রার্থনায় শরিক হলাম । তোমাদের আগামী জীবন সুখে কাটুক এই কামনা করি ।


--
কৃপা
==============================
সবার উর্ধে তৎজননী
কোশল মহারানী
রত্ন গর্ভা মহিয়সী

মমতা-সিঞ্চিত তাঁর অঞ্চলখানি ।

Tuesday 31 October 2017

মালি

তোকে লাল মাটির দেশে প্রথম দেখেছিলাম,
তখন তোর ভোর;
তোর গায়ে ফুটেছিলো শিমূল, পলাশ।
তোকে দিয়েছিলাম ময়ূরের রঙ, পরেছিলিস খোঁপায়
তোকে দিয়েছিলাম চাঁদের হাসি, পরেছিলিস ঠোঁটে ।
আমায় বলেছিলিস --
"আমি গোলাপ, রজনীগন্ধা হতে পারি
যদি তুই হোস মালি ।"
এরপর তোর সকাল হলো ।

তারপর তোকে দেখি শিলং-এর কানা গলিতে,
তখন তোর ভীষণ দুপুর !
তোর ঝলসে যাওয়া দেহে
বস্ত্র প্রায় পুড়ে গেছে,
সেটুকুও রাস্তার কুকুর ছিড়ে খাচ্ছে !
গায়ে তোর দগদগে রক্তজবা !
গভীরে তলিয়ে যাচ্ছিলিস,
নরকের চোরাবালিতে !
আমার জামার খুঁট আঁকড়ে ধরেছিলিস
ভাগ্গিস দেখেছিলাম তোকে !

তোকে আনলাম আমার ছোট্ট বাগানে
যেখানে শয়ে শয়ে তুই ছিলিস  ।
কোনো তুই শালুক ছিলিস,
কোনো তুই চন্দ্রমল্লিকা ছিলিস,
অনেক আগে ।

এদের মাঝে তুই একদিন
শাখা গজালি, আবার কচি পাতা হলো ।
দিনে দিনে বটগাছ হলি,
ফুল হলো না, কিন্তু নরম ছায়া হলো ।
তার তলায় আশ্রয় পেলো
কত না-ফোটা কুঁড়ি ।
তোর তখন সন্ধে ।

আস্তে আস্তে তোর রাত হলো,
সেঁতসেঁতে অন্ধকারে এলো
শেয়াল, কুকুর, পেঁচা
আদিম খিদেয় ঝাঁপিয়ে পড়লো,
ক্ষত বিক্ষত করলো তোকে !
কিন্তু তাদের কুঁড়িদের ছুঁতে ছুঁতে
আমার ঘুম ভেঙে গেলো ।

তোর আর ভোর হলো না !
তোর অজস্র ক্ষতয় পারিজাত ফুটেছিলো ।
আমার কোলে মাথা রেখে
শেষ বার বলেছিলিস --
"আমি গোলাপ, রজনীগন্ধা হতে পারলাম না,
কিন্তু এরা হতে পারে ।"

এই কুঁড়িরা আজ
সুগন্ধি ফুলে ভরা বটগাছ হয়েছে
তাদের ফুলও আছে, ছায়াও ।
আমি আজও মালি ।

--
কৃপা

পুনশ্চ : Rescue and Relief Foundation এর মতো সমাজ কল্যাণে আত্মনিবেদিত সংগঠন এবং তাদের নির্ভীক কর্মীদের জানাই আমার অন্তরের অর্ঘ্য ।

Monday 16 October 2017

শুভ জন্মদিন দেবনৃপ (নীল)

প্রিয় দেবনৃপ,
(আমি বন্ধু কৃপ )

সারাবছর ছবি এঁকে
যাদের করলে ধন্য,
জন্মদিনের আসরেতে
জীবন্ত সেই ডাইনো ।
মুখে তাদের তোমার কাছে
ধন্যবাদের বুলি,
সঙ্গে তাদের তোমার জন্যে
উপহারদের ঝুলি ।

Barapasaurus Tagori,
মনে প্রাণে বাঙালী ।
ধুতি পাঞ্জাবি নাগরাই পরে বাবু বাবু বেশ,
আনলো সে যে  নীলের জন্যে
রাজভোগ, সরপুরিয়া, মনোহরা, সন্দেশ ।

Velociraptor এলো এবার
চীনা প্রজা সেজে,
সঙ্গে সঙ্গে উঠলো শোনো
chinese flute বেজে !
চীন থেকে আনলো সে
নরম সিল্ক-পোশাক,
সঙ্গে আছে কুং পাও চিকেন,
নুড্ল সূপ আর পেকিং ডাক ।
Brontosaurus উঁচু গলা
কুতুব না আইফেল ?
নীলের জন্যে আনলো পেড়ে
তাল, খেঁজুর আর নারকেল ।
Stegosaurus এলেন এবার
গায়ে পরে বর্ম,
শান্ত তিনি করেন নাকো
যেমন-তেমন কর্ম ।
নীলের জন্যে আনলেন তিনি
কড মাছের dish
আনলেন আরও সঙ্গে করে
পর্তুগিজ sea-fish ।
Allosaurus এলেন তিনি
নেচে নেচে এবার
সঙ্গে নিয়ে ইউরোপেরই
হরেক রকম খাবার ।
gelato, য়োগার্ট, আইস-ক্রিম
আর ফ্রোজেন কাস্টার্ড,
চীজ-কেক, চকো-ওয়াফেল
প্যানকেক, স্ট্রুডেল , টার্ট । 

Archaeopteryx এলেন এবার
আকাশ পথে ধেয়ে
হঠাৎ করে ওঠেন তিনি
জার্মান-গীতি  গেয়ে ।
ডাইনো নাকি পক্ষী তিনি
সমাজে ভারী কোন্দল !
নীলের তরে আনলেন তিনি
গ্রীলড চিকেন hendl ।
Spinosaurus এবার তিনি
বীর দাপটে এলেন
নীল কে তিনি ভালোবেসে
কি উপহার দিলেন ?
গাইতেন তিনি গা এলিয়ে
নীল নদের তীরে,
নীলের জন্যে আনলেন তিনি
Kimberly-এর হীরে ।

Dilophosaurus এলেন
সেই সুদূর US হতে 
নীলকে শুভ জন্মদিনে
শুভেচ্ছা বাণী দিতে ।
আনলেন তিনি যত্ন করে
Allen-Edmonds জুতো
সঙ্গে Gucci-এর স্যুট,
Lindt সুইস চকলেট
আর কুকি-বিসকুট ।


সবার শেষে এলেন রাজা Tyrannosaurus rex
তাঁর সামনে সবার হলো ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স !
নীলের জন্যে আনলেন তিনি
Apple-এর  ট্যাবলেট
সঙ্গে ছিল ঝুড়ি ঝুড়ি
Hersheys চকলেট ।


আরো কত ছোট বড়ো
ডাইনোসর এলো
মিষ্টি নীলের জন্মদিনে
কত্ত মজা হলো !


--
আমার বাবার চোখের অপারেশন ছিল, তাই আমি কলকাতায় এসেছি । তাই  জন্যে নীলের জন্মদিনে ডাইনোসর আর মানুষের অভিনব সমাগমে আসতে পারলাম না । আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো নীলের সুখময় ভবিষ্যতের জন্যে । অনেক বড় হও, মা-বাবা আত্মীয় স্বজনের মুখ উজ্জ্বল করো, এই কামনাই করি ।


--
কৃপা মেসো

Monday 2 October 2017

আবার মিঠুন চক্রবর্তীর খপ্পরে !


 


২০১১ সালে কোনো এক রবিবার একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে দেখেছিলো ISI-এর প্রসেনজিৎ-দা, জিয়া-দা, দীপা-দি, কণা (দীপাদির বোন) প্রভৃতিরা আমার হাস্যময় "photogenic face" আর সেটি অঙ্কনরত জনৈক মিঠুন চক্রবর্তীকে । এখানে বলে রাখি, এই মিঠুন চক্রবর্তী একজন পোর্ট্রেট শিল্পী, আমাদের ডিস্কো ডান্সার মিঠুন-দা নন । এই শিল্পীর কাজই হলো আমার মতন "মুখের-ওপর-না" না বলতে পারা,  "photogenic face"- ধারী ব্যক্তি পাকড়াও করে নিমেষের মধ্যে তাদের ছবি এঁকে এবং তাদেরকেই সেটা বিক্রি করে তাদের কাছে নিজের অসামান্য প্রতিভার মূল্য আদায় করা ।

২০১১ সালে আমার সাথে এই ঘটনা ঘটেছিলো। আজ আবার ঘটলো । অকস্মাৎ, বিশেষ কিছু ঠাহর করার আগেই ! শশুর বাড়ি থেকে ফেরার সময় কি মনে হলো, একবার একাডেমির সামনেটায় ঘুরপাক খাচ্ছিলাম আর প্রজাপতি বিসকুট সহযোগে চা সেবন করছিলাম । এমন সময় প্রায় মাটি ফুঁড়ে এই শিল্পীর আবির্ভাব ঘটলো ! যেমন নাম, তেমনি কাম ! আমার সাথে ঠিক ২ মিনিটের ভূমিকা -- "এই আপনাকে ভদ্রলোক বলে মনে হচ্ছে, আমি কিন্তু সবার ছবি আঁকি না, আপনি মুখের ওপর 'নেহি চাহিয়ে' বলা বড়োলোকের ব্যাটা নন" ইত্যাদি । আমিও ভ্যাবাচেকা খেয়ে দুর্বল বিবাদী পক্ষের উকিলের মতো অচল যুক্তি ছুঁড়ে দিচ্ছিলাম  -- "মানে বলছি কি, এক্ষুনি বৃষ্টি নামবে, তায় মহরম... রাস্তায় বাস কম, একটু তাড়া ছিলো" ইত্যাদি । কিন্তু আমার বিনীত অনুরোধে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে ইতি মধ্যে শিল্পীর ক্ষিপ্র হস্তের পেন্সিল কার্ডবোর্ডে আঁটা কাগজে ললিত কলা সৃষ্টি করতে শুরু করে দিয়েছে । আমি আরো বললাম -- "না মানে আপনি কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে আমার ছবি এঁকেছিলেন, সে ছবি এখনো আমার কাছে রয়েছে" । এটা বলায় উনি থামলেন । আমি ভাবলাম, এইবার বোধ হয় ওষুধ ধরেছে । কিন্তু উল্টে আরও উৎসাহ পেয়ে শিল্পী বললেন -- "তবে ! হতেই  হবে ! আমায় কি হেঁজি পেঁজি পেয়েছেন নাকি ? আমার নাম মিঠুন চক্রবর্তী ! আর্টিস্ট ! তবে এ ক'বছরে  আমার হাত আরও খুলেছে ! আগেরটার সাথে এইটা মিলিয়ে নেবেন!" বলে দ্বিগুণ উৎসাহে কাগজে পেন্সিল সঞ্চালন করতে লাগলেন । আশপাশের লোকজন উৎসুক দৃষ্টিতে একবার আমার দিকে, একবার শিল্পীর ক্যানভাসের দিকে তাকিয়ে চলে যাচ্ছিলেন, কারো মুখে মিটি মিটি হাসি । আমার ঠিক বাম দিকে এক ডানপিটে ধরণের মেয়ে সিগারেট ফুঁকছিলো । সে ফোঁকা থামিয়ে চোখের সামনে জলজ্যান্ত মূর্তিমান শিল্প অবলোকন করছিল । সামনের টিকেট কাউন্টারে অনুসন্ধানী লোকজন এদিকে দেখে কিসব কানাকানি করছিলেন । আমিও লজ্জা লজ্জা মুখ করে তাদের দিকে চাইছিলাম । তাই দেখে মৃদু হুকুম এলো "আমার দিকে তাকাবেন  দাদা" ! হুকুম তামিল হতেই তিনি বলে চললেন "আমার হাতের যে উন্নতি হয়েছে, একথা শুধু আমি বলছি না দাদা । স্বয়ং দিদি বলেছেন ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় !" আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম "তা আপনি কি ওনারও ...?"  "ধুর ওনার অত  সময় কোথায় ?? কিন্তু দিদি আমায় একাডেমির ভেতর জায়গা করে দিয়েছেন । দিদি জিন্দাবাদ ! আমার সামনে ওনার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে রক্তারক্তি হয়ে যাবে এক্কেবারে !" আমি মনে মনে ভাবলাম "আমার ঘাড়ে কটা মাথা !" শিল্পী বলে চললেন (ওনার পেন্সিলের চলাচল অব্যাহত) -- "তবে শর্মিলা দিদি -- ওই যিনি 'আরাধনা' করেছিলেন, ওনার ছবি এঁকেছি ; রাজেশ খান্নার এঁকেছি, আপনাদের মিঠুনদার ছবি এঁকেছি । আজ আপনার আঁকছি !" শুনে আমি হাসবো না কাঁদবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । আর অসহায় ভাবে চিত্রিত হওয়া  ছাড়া আর কি করবো, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না! শিল্পীর হাত আর মুখ একই গতিতে চলছিল। হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছিলাম এনার নামের সার্থকতা ! শিল্পী বলে চলেছেন, ছবিতে ফিনিশিং টাচ দিতে দিতে, "তারকারা তো একদিন আঁকাবেন, ৫০০ টাকা দেবেন, ব্যাস ! কিন্তু আপনারাই তো আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, নাহলে কি আর ছবি এঁকে পেট চলে দাদা "!

অবশেষে আমার পোট্রেট শেষ হলো (attached) । আমার খুব যে মনোপূতঃ হয়েছিল তা নয়, কিন্তু মাত্র ৮-৯ মিনিটের মধ্যে এইটুকুও করা সহজ নয় । আমি এককালে শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, প্রচুর ছবি আঁকতাম । কিন্তু একদিন নিজের চরম অযোগ্যতা বুঝতে পেরে ইতি টানি ! তাই শিল্পীদের প্রতি আমার মনে অনেকখানি সম্মান জমা রয়েছে, তা অনুভব করি কোনো শিল্পী এবং তাঁদের আঁকা ছবি দেখলেই । তাই হয়তো এবারেও মুখের ওপর না বলতে পারিনি । এছাড়া ২০১১ সালের সেই দিন আমরা "চিরকুমার সভা" দেখেছিলাম, খুব ভালো লেগেছিলো ! সেই সব সোনালী দিনের স্মৃতির ছবি মনে প্রাঞ্জল হয়ে উঠছিলো আজ এই পোর্ট্রেট আঁকানোর সময় । তাই  নির্বিবাদে শিল্পীকে তার কাঙ্খিত পারিশ্রমিক দিয়ে খুশি মনে বিদায় নিলাম আমার নতুন পোর্ট্রেট নিয়ে । ওনার হাত আরও ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে আগের বারের চেয়ে কিছু বেশি নিলেন, বলাই বাহুল্য !

Thursday 31 August 2017

টপ্পাইের জন্মদিন

আজ টপ্পাইের জন্মদিন,
বৃষ্টি নাচে তা-ধিন-ধিন ।
আজকে আবার মজার দিন,
বৃষ্টি নাচে তা-ধিন-ধিন ।

~@~
 

আজ কি পরেছে টপ্পাই ?
দেখে আসি চলো ভাই !
মুকুট-ধুতি-পাঞ্জাবি । 
ঠিক তাই! ঠিক তাই !
বাদশাহী নাগরাই । 
ঠিক তাই! ঠিক তাই !



আজ কি পেয়েছে টপ্পাই ? 
 দেখে আসি চলো ভাই !
হরেক রকম উপহার । 
ঠিক তাই! ঠিক তাই !
সাত রাজার রত্ন হার । 
ঠিক তাই! ঠিক তাই !

আজ কি খেয়েছে টপ্পাই ?  
দেখে আসি চলো ভাই !
মাংস পোলাও কালিয়া ।
 
ঠিক তাই! ঠিক তাই !
পায়েস বোঁদে পান্তুয়া ।
ঠিক তাই! ঠিক তাই !
আজ বেজায় খুশি টপ্পাই ।
ঠিক তাই ! ঠিক তাই !
আজ যা ইচ্ছা তাই পায় ! 
ঠিক তাই! ঠিক তাই !

~@~

বাজলো কাঁসর,
বাজলো বাঁশি,
সবার মুখে সাজলো হাসি ।

কেকের গন্ধে ম-ম,
পেটের মধ্যে চোঁ-চোঁ ।

মনোহরা সরভাজা,
পেট পুরে খেয়ে যা ।

সবার আশীষ ওই যে ঝরে,
টপ্পাইের মাথার 'পরে

----
টপ্পাইের জন্যে রইলো বুক ভরা শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা । ওর জীবন আনন্দ, পূর্ণতা ও পবিত্রতায় ভরে উঠুক -- এই কামনা করি ।

--
কৃপা (কাকু/মামা?)

Tuesday 8 August 2017

বৃষ্টি ও আমি

কলেজ  থেকে
বাড়ি ফেরার পথে
হঠাৎ দেখা হতো তোর সাথে ;
জল-জমা রাস্তায়,
খোলা আকাশের শামিয়ানায়
কত আড্ডা দিতাম তোর সাথে,
কত ফাজলামি, কাদা জলে জল-কেলি;
তোতে ভিজতাম আমি,
আমাতে তুই ।

আসতিস আমার সাথে বাড়ি পর্যন্ত
আবার হারিয়ে যেতিস হঠাৎ,
কিচ্ছুটি না বলে !
আবার দেখা হলে
করতাম কত গোঁসা
কিন্তু একটুও রাগ করতিস না তুই ;
বেয়ারার মতো ঝড়তিস আমার গায়ে ।

ধরতে চাইতাম তোর হাত
পাশ কাটতিস, ফস্কে যেতিস তুই ;
তোর হাসি নূপুর বাজাতো
পাতায় পাতায়, জলে ডোবা পাড়ার মাঠে ;
ওপর দিকে চেয়ে খুঁজতাম তোকে
ঝাপসা করে দিতিস আমায়
কানামাছি খেলতিস আমার সাথে ।

এখন আমার অনেক কাজ
বড্ডো হয়েছি বড়ো !
অনেক মুন্সিয়ানা শিখেছি ,
বোকা বোকা শখগুলো হয়েছে বাস্তুহারা ;
তোর সাথে হয়না কথা ;
শুধু জানলা দিয়ে দেখি তোকে ;
ছেলেবেলার স্বপ্নগুলো খেলা করে আমায় ঘিরে,
হারিয়ে যাস তুই  -- অনেক কাজের  ভিড়ে !

কাজ থেকে বাড়ি  ফেরার  সময়
এক  বেখেয়ালি  লহমায়,
রাস্তার  ল্যাম্প পোস্টের
ওই গলা সোনার আয়নায়
খুঁজি শৈশব;
খুঁজি তোকে;
খুঁজি সেই  হারানো দিনগুলোকে ;
খুঁজি সেই  বাঁধন-ছাড়া  আমি-কে;
জমা  জলে  দেখি
কাগজের  নৌকা
যা  ভরাডুবি  হয়েছে  অনেকদিন
কতকি দ্বায়িত্বের ভারে !

[বিরতি]

আজ আবার খোলা রাস্তায়
আকাশের দিকে চেয়ে আছি ;
আয় নেমে  আয় আর একটিবার
মনের কিউবিকলে ;
ভাসিয়ে দে জমা খরচ,
হিসেব নিকেশ, কর্ম-ব্যস্ত সালতামামি ।

ইস্কুল ফেরত
ভেজা বিকেল
ফিরিয়ে দিয়ে  যা,
বেখেয়ালি অবচেতন
ভরিয়ে  দিয়ে  যা ।

আবার চেনা  খুনসুটিতে
আমায় জাপটে ধর তুই ;
কণায় কণায় পাই তোর  স্নেহ,
আদরে বুলিয়ে দে  মাথা ;
বলি আবার বোজা চোখে
সেই হারিয়ে  যাওয়া  কথা ।


--
কৃপা

Tuesday 9 May 2017

২৫শে বৈশাখ

তুমি এসেছিলে বৈশাখী হয়ে,
পাপড়িতে রেণুতে স্ফুলিঙ্গ সাজিয়ে,
কাঁকনে নূপুরে প্রেম বাজিয়ে ;
শ্রাবণ হয়ে বিদায় নিলে ।

দিয়েছ প্রাণ ভরে
নিয়েছি সব আঁচল করে ;
-- শৈশব, গাছতলা, চিলেকোঠা
মনের গহিনে রয়েছে জমে ।
জীবনের সালতামামিতে
যখন হিসাব নিকাশ আসে কমে
সব বুকে নি নিবিড় করে ।


কত দোয়াত করেছি খালি
ছেঁড়া কাগজের স্তুপে করেছি জঞ্জাল,
কত অবসরে, খেলার ছলে
হয়েছি তোমারই কাননে বনমালী ।


আঁকড়ে তোমারই কায়া 
বুঝেছি ব্যর্থ হয়ে
হবো না কখনো তুমি ;
তবু পড়ে রবো
তোমার পদ রেনু মেখে
হয়ে তোমারই অচেনা ছায়া ।

গ্রীষ্মের পদ ধ্বনি, ওই শোনা যায়. .আসছে সে আসছে !

প্রকৃতির ভীষণ জ্বর
আসবে বলেছে বাতাস,
পারদ এবার চীল হবে
মাটির দীর্ঘশ্বাস ।


নিঃশ্বাসে বইবে বিষ,
বাসুকির গরম পাশে
হাসবে আনুবিস ।

এই উষ্মা-গরল -- কে করবে পান ?
কে তুমি নীল কণ্ঠ,
শীতল করবে প্রাণ ?

Sunday 12 March 2017

চান্না মেরেয়া

এবার চলি সখী
শুভেচ্ছায় ভরে রেখো
আমার উল্লেখ-স্বাদ
রসনায় ধরে রেখো
মনের সিন্ধুকেতে
আমার ভালো নাম রেখো 
তারাদের চিঠিতেও
আমার নিয়ে কলাম লিখো
আঁধার তোমার
সব
আপন হলো
আমার
সুখ তারা তোমায়
আমি বিলিয়ে দিলাম
চাঁদ আমারই আমারই
তুমি
আমারই আমারই
চাঁদ আমারই আমারই
ও প্রিয়া
তোমার আসরে তে
যদি নাই থাকি তো
ব্যাথা তো নেই যে
ব্যাথা তো নেই যে
নিবিড় দুজনের
একাকী বলে চলা
কম
কথা  তো নেই  যে
কথা তো নেই যে
কতবার সকালকে  
তোমার আঙিনায় আমি
সাঁঝ করেছি

চাঁদ আমারই আমারই
তুমি
আমারই আমারই
চাঁদ আমারই আমারই
ও প্রিয়া
তোমার ঘর থেকে
মুখ ফিরিয়ে অন্য পথে যাই
চন্দন আমি
সুবাস আমার
তোমার কাছে রেখে চলে যাই
মনের মায়া রেখে
তোমার বালিশের তলে 
বৈরাগীর চাদর মুড়ে
বিদায় নিলাম
আমি গেলাম চলে

চাঁদ আমারই আমারই
তুমি
আমারই আমারই
চাঁদ আমারই আমারই
ও প্রিয়া

শুভ পরিণয়

রাজনীগন্ধার মাতাল নেশায়
মধু সমীরণে বহে,
সুখের প্রাপ্তি আশায়
পরীর দল গাহে ।
বাজে কিন্নর বীণা
দোলে পাপড়ি সমুদয়, 
চাঁদের অমৃত কণা
ঝরে নব-যুগলের গায় ।
রাতের ময়ূর খেলে
আলোর নূপুর পরে,  
প্রণয় প্রদীপ জ্বলে
মরম শান্তি নীড়ে ।
উথলে পরে সুধা
উছলে পরে কেশর,
প্রজাপতির রঙে রাঙা
তোমাদের মিলন বাসর ।।

তোমাদের সুন্দর বিবাহিত জীবন কামনা করি । ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও না যেতে পারায় দুঃখিত ! মা বাবা আজ যাবে ।

--
কৃপা

শুভ নববর্ষ (ইং) ২০১৭

কাল বসন্তের নতুন কুঁড়ি
পাপড়ি মেলে দেখবে
নতুন দিনের আলো;
নতুন রোদের নরম আঁচে
ভোরের পাখির গান কানে নেবে সে,
নতুন বাতাসের স্পন্দন প্রাণে নেবে সে;
সাধ করে রবি ঠাকুরের সুরে সে বলবে
"আমি এসেছি গো,
রুদ্ধ দুয়ার খোলো" ।

কিন্তু
কি দেখবে সে?

ব্রেক্সিট-মুখী "ইউরো ছাড়ো" কুচকাওয়াজ?
কালো পুঁজি নিংড়ে নেওয়ার
নিত্য নতুন রেওয়াজ?

কাঁটা তার ডিঙিয়ে
পড়শির ঘরে ছাই ফেলার নৃত্য?
রক্ত-চোখে জব্দ করার
ক্লান্তিকর ইতিবৃত্ত?

কি শুনবে সে?

উন্নয়নের ভগ্নস্তূপে চাপা
অসহায় নিষ্পাপ প্রশ্বাস?
জীবনান্তের সম্বল আঁখড়াতে
সারিবদ্ধ দীর্ঘ নাভিশ্বাস ?

নাকি দেখবে --

ভেতরের কালির অপসারণ;
মনের শাখে শাখে
বিশ্বাসের স্ফুলিঙ্গ স্থাপন;
অরূপ আলোয় চেতনার মিলন;
ভাবের বাজারে
আপনাকে বিলিয়ে দেওয়ার,
মিলিয়ে দেওয়ার
উৎসব উদযাপন ।


নাকি শুনবে --

ঐকতান;
ক্ষেপা বাউলের দোতারায়
বব ডিলনের তান;
মন্দিরে মন্দিরে, গির্জায়,
মৈত্রীর আজান ।

          ~@~

নতুন বছর আনুক
মুক্ত চিন্তার প্রসার,
নতুন ভরসায়, নতুন নিষ্ঠায়
নতুন কর্ম-তেজের অঙ্গীকার ।

            ~@~

তোমাকে এবং তোমার প্রিয়জনদের জানাই শুভ ইংরেজি নববর্ষ ২০১৭-এর প্রীতি ও শুভেচ্ছা !

--
কৃপা