Thursday 1 December 2016

জন্মদিনে কাব্যান্বেষী

আবার এলো এই স্বপ্ন-ঘেরা দিন,
যেদিন, কয়েক বসন্ত আগে,
এক অদৃশ্যপূর্ব লহমায়,
পৃথিবীর আলোর সাথে রুবরু হয়েছিল
কাব্যান্বেষী এলোকেশ (খুদা) বকশ (ই) ।


আশিক সে তবিয়তে,
তার আশিক গুণমুদ্ধ পাঠক, প্রকাশক;
যাঁরা তার ভাবের রঙে রঙিন হন,
তার ক্যালিডোস্কোপে জীবন দেখতে পান,
মুগ্ধ হন মুহুর্মুহু ।


খুদা (বা ভগবান, বা god)-এর যে বখশ, জ্যোতির্ময় উপহার,
বরফ-বন্দি থেকেও যার কলম দানিতে কলামের পর কলাম,
ডুব সাঁতারে যে সূর্যের আলো ভাঙতে দেখে রামধুতে,
ঠিক যেন জমাট বাঁধা একরঙা ভাবগুলো
হরেক রঙের আদরে তুলে আনে
প্যাপিরাসের শরীরে, গিটারের কর্ডে,
কণ্ঠের তরঙ্গে ।


আজ এই দিনে,
কেক পিন্ডে হৃদয়ের গন্ধ পাক সে,
স্কাইপে অচেনা মুখ আরও চিনতে শিখুক সে,
সে যা চায়, তাই হতে পারুক সে ---
~ সুদূরের (কৃপা) বন্ধুর নির্মল কামনা ।। ~

শুভ  জন্মদিন ।।


--

কৃপা

Thursday 17 November 2016

অন্ত অমিল

অন্ত অমিল
=======

চুঁয়ে পড়া ঘাম;
স্বপ্নের আকাশ ছোঁয়া দর ?
নাকি জাগলো আবার প্রথম রিপু ?

নিঃশাসে বাষ্পিত অবরোধ
মনে রগ্  রগে দ্বিতীয় রিপু !

বুকের পাঁজর বেয়ে ওঠে ক্ষোভ,
আদিম খিদেয় জমাট বাঁধা তৃতীয় রিপু ।

নেশায় স্তিমিত দেহ,
অবশ করা চতুর্থ রিপু ।

উৎরাইয়ের সিঁড়ি বধ,
মাথা ওঁচানো পঞ্চম রিপু ।

পাশের দেয়ালে নিপুণ কারুকার্য,
আমার দেয়ালে  কৈ ?
সবুজ আনলে ধিকি ধিকি জ্বলে শেষ রিপু ।।

বিঃ: দ্রঃ:

অনিচ্ছায় মিল
জমা ক্ষোভ রেখে যায়
কহেন কবি জয় !
আর স্বেচ্ছায় অমিল ?
সেটা কেমন তরো হয় ?
দেখো গো গুণী জন
দেখো দিয়া মন ;
রিপুচক্রে,
হৃদি বক্রে,
স্বেচ্ছায় অমিল
এমন তরো হয় ।

এবার অন্ত মিলনের পালা :
================


চুঁয়ে পড়া ঘাম
স্বপ্নের আকাশ ছোঁয়া দাম ?
নাকি জাগলো আবার কাম ?

নিঃশাসে বাষ্পিত অবরোধ,
মনে রগ্  রগে ক্রোধ !

বুকের পাঁজর বেয়ে ওঠে ক্ষোভ,
আদিম খিদেয় জমাট বাঁধা লোভ ।

নেশায় স্তিমিত দেহ
অবশ করা মোহ ।

উৎরাইয়ের সিঁড়ি বধ
মাথা ওঁচানো মদ । 

পাশের দেয়ালে নিপুণ কারুকার্য,
আমার দেয়ালে  কৈ ?
সবুজ আনলে ধিকি ধিকি জ্বলে মাৎসর্য ।।

==================

জোর করে থামে না গো
সহজ মিলন ধারা,
পুনর্মিলন ঘটলে আবার
হবে বাক্যহারা :-)
পুনশ্চ : ভাবের সাথে সাথে স্বাভাবিক অন্ত মিলন ঘটানো অবশ্যই একটি বিশেষ প্রতিভার সাক্ষ্য রাখে । তবে কেবল মেলাবো বলেই অন্তমিল, তাতেও কাব্যগুণের ক্ষতি । উক্ত প্রচেষ্টা তাঁদেরই জন্যে নিবেদিত যাঁরা যুগ যুগ ধরে ভাবের মিলনে মনের মিলন ঘটিয়ে আসছেন । অন্তমিলনের তাগিদটা নেহাতই ব্যাক্তিগত রুচির ব্যাপার । যুগের হওয়ার প্রশ্রয়ে কারো চেনা ছাঁচ ভেঙে নিরাকারে বিলীন হওয়ার ইচ্ছে-ডানা গজায় । কারো আবার অন্তে মিলনের সিম্ফনি না শুনতে পেলে মন খচ খচ করে । যে যার মতো ভালো থাকুন, নিজের ছন্দে ভাবের সাথে মৌতাত করুন, আমরা তলানির সোমরস টুকু পেলেই খুশি :-)

শুভ বিজয়া

ঢাকের কাঠি চুপ,
কাশের মুখ ভার,
ফাঁকা ঠাকুর দালান,
মা কৈলাশ পথে যান ।

জলে মা মৃন্ময়ী
জ্বলে রূপ চিন্ময়ী,
গোধূলিতে সিঁদুর খেলা
আর চোখের জলে স্নান ।

স্মৃতিটুকু বুকে নিয়ে
আবার দিন গোনার পালা
"আসছে বছর আসবো আবার"
মা তাই বলে যান ।।
শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই ।

শুভ সপ্তমী

সাতের সুর বাহার
সাত রঙা রামধনুর হার ;
সাত পাকের আগে পরে
ঠাকুর দেখা ক-বার ?

সাত মহাদেশ ঘুরে
এজেন্ট 007 করে সাত আশ্চর্য সন্ধান ;
সপ্তমীর দিন প্যান্ডেলে গায়
'সাত সমুন্দর' গান ।

নতুন জামা জুতো পরে
snow white আর seven dwarfs
seven samurai সঙে ঘোরে ইতি উতি ;
seven deadly sins জয়ে
সপ্ত ঋষি মিলে গায় দেবীর স্তুতি ।

খুনসুটি ফাজলামি
গোপন প্রেম নিবেদন ;
সাতে পাঁচে মিলে মিশে
শারদীয়ার সাত কাহন ।

সপ্তমীতে ,
ঢাকের তালে তালে,
মা হৃদয় জুড়ে শক্তি রূপেণ, শান্তি রূপেণ সংস্থিতা ;
নমস তৎসই নমস তৎসই নমস তৎসই নমঃ নামাহঃ । ।

মহা সপ্তমীর  প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই  ।

Saturday 6 August 2016

শ্রাবণ

খোলা জানলায় এলো
শ্রাবণের ভেজা দিন ।
ধূসর চোখের কাঁচ,
ধূলো জমা দূরবীন ।
প্রথম দেখার বিদ্যুৎ,    
আর ব্যস্ত সর-জমিন ।

ডাইরির শেষ পাতে
আজও আধ মোছা নাম লেখা আছে ।

কাক ভেজা রেনকোটে
ভিজতো যে উত্তাপ ।
টুপ্ টাপ ঝির ঝির
ভিজতো উষ্ণ চায়ের কাপ ।
ভরা পার্কের বেঞ্চ
আর দুজনের টিফিন ।

পার্কের সেই সীটে
আজও আধ ভেজা নাম জেগে আছে |

বয়ে যায় স্মৃতি কণা
কাল কেউটের ফণা !
একলা পার্কের বেঞ্চ
না খাওয়া টিফিন ।
ফাঁকা ঝিলের পার
আর ছকে বাঁধা রুটিন ।

তবু বিকেলের হাওয়ায়
কোন পাখি বলে যায়,
শ্রাবণের রিমঝিমে,
আজও আধ ভোলা নাম বেঁচে আছে ।

বিদায় দীপাদি !!

এতদিন ধরে ছিলে তুমি ওগো

ল্যাব আলো করে,
রেখেছিলে মোদের
সোহাগে আদরে
তোমার মমতা নীড়ে ।

এখন
থাকবে না তুমি, ল্যাব খানি তোমার
হবে গো অনাথ, হবে গো ফাঁকা !!
তোমার মধুর হাসিখানি মোদের
হৃদয়ে রবে গো আঁকা ।

তবু তোমার কীর্তি-খানি
হউক সমুজ্জ্বল
এই কামনাই বুকে করে মোরা
মুছবো চোখের জল ।।

--
তোমার স্নেহধন্য
কৃপা

মানব - বল্টু সংবাদ

নাটিকার মূল  চরিত্র :
মানব বাবু  - সরকারি কর্মচারী, বয়স ৪২, বিবাহিত বিগত ১৩ বছর
বল্টু - মানব বাবুর পুত্র, ক্লাস ৫-এ  পড়ে
ফটকা, মিছরি - ভাই - বোন, পাশের বস্তিতে থাকে, বল্টুর খেলার সঙ্গী, তাতে মানব বাবুর আপত্তি

দৃশ্য ১ :

মানব বাবুর বাড়ির বারান্দা। বুধবার, সন্ধ্যেবেলা ।

বল্টু :       বাবা, এই সামনের মাসে,
               কি  নববর্ষ  হবে ?

মানব বাবু :    হ্যা সোনা হবে

বল্টু  :       নববর্ষ কাদের বাবা ?
              তোমার ? নাকি আমার  ?

মানব বাবু :     নববর্ষ সবার সোনা
                   নববর্ষ  সবার !

বল্টু  :        মায়ের, তোমার আমার ?

মানব বাবু  :      হ্যা সোনা সবার

বল্টু :        আর মিছরির আর ফটকার ?

মানব বাবু (ঈষৎ থেমে) : হ্যা  সোনা  সবার

বল্টু  : নব বর্ষে নতুন জুতো, নতুন জামা আমার ?

এবার ছেলেকে কাছে টেনে নিয়ে, আদর করতে করতে

মানব বাবু  : হ্যা সোনা, সবই  হবে তোমার

বল্টু  : আর মিছরির আর ফটকার ?


----

দৃশ্য  ২ :

রবিবার বিকেল । মানব বাবু নিউস চ্যানেল দেখছেন । বল্টুর টিভির ঘরে প্রবেশ ।

বল্টু  : আচ্ছা বাবা বলতে পারো, শিরদাঁড়া কারে কয় ?

মানব বাবু কিছুক্ষণ নিরব । তারপর বললেন

মানব বাবু :         যা থাকলে জীব-জন্তু সোজা হয়ে দাঁড়ায়,
                       যা না থাকলে তাদের মাথা নিচু হয়ে যায়

বল্টু  :               তোমার কি আছে বাবা  ?

মানব বাবু :            কি  ?

বল্টু :              ওই শিরদাঁড়া যারে কয় ?

মানব বাবু নিরুত্তর ।

বল্টু :             তাই বুঝি মায়ের সামনে
                    তোমার মাথা নিচু হয়ে যায় ?

---

দৃশ্য ৩ :

শনিবার । দুপুর বেলা । ভাত খওয়া হয়েছে । মানব বাবু খাটে  শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন । এমন সময় ঘরে বল্টুর প্রবেশ

বল্টু  :            আচ্ছা  বাবা, সিন্ডিকেট কারে  কয় ?

মানব বাবু  (ঘুম ঘুম চোখে ):         ওই সবাই যাদের পায় ভয়,
                             
              রাজ্য জোড়া  উন্নয়ন
                                             যাদের  দ্বারা হয় ।

বল্টু  :                           আমিও  তালে হয়েছি  বাবা

মানব বাবু  :                               কি ?

বল্টু  :                        ওই  সিন্ডিকেট..এখন ওই বেড়াল ছানা আমায় পায় ভয়

---

দৃশ্য ৪  :

বেস্পতিবার, রাতে খাবার পর, বারান্দাতে ।

বল্টু  :              আচ্ছা  বাবা, কোথায় নাকি ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে
                       তার নিচে কত লোক চাপা পড়ে আছে ?  

মানব বাবু  : সত্যি বাবা ! কি সাংঘাতিক কান্ড হয়ে গেছে !

বল্টু  :       এবার যদি মাথার ওপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ে 
                তার নিচে তুমি আমি যাব সবাই মরে  ?
 
----

দৃশ্য  ৫ :

রোববার বিকেল । বল্টু পাড়ার মাঠে খেলতে গেছে । মানব  বাবু  কাগজ  পড়ছেন । এমন  সময় পাড়ার ছেলে লালুর  হাঁফাতে হাঁফাতে প্রবেশ 

লালু  : মানব কাকু ! সর্বনাশ হয়ে গেছে !
         মাঠের ধারে ঝিলের জলে বল্টু পড়ে গেছে !

মানব বাবুর মাথায়  যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে । লালু  বলে  চলে

লালু  : কে যেন  সঙ্গে  সঙ্গে  ঝিলে  ঝাঁপ  দেয়
          জল থেকে তুলে তাকে
          ডাক্তার খানায় নিয়ে যায় ।

সঙ্গে সঙ্গে মানব  বাবু ও  তাঁর  স্ত্রীর লালুর সাথে ডাক্তার খানার  উদ্দেশ্যে প্রস্থান ।

----

দৃশ্য  ৬ :

ডাক্তার খানা । অনেক জনসমাগম । মানব বাবু ও তাঁর স্ত্রী ভিড় ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলেন । বল্টু খাটে শুয়ে  আছে । ভিজে  চপচপে সারা গা । চোখ বন্ধ । দেখে মানব বাবু থমকে গেলেন । স্ত্রী "বল্টু..বল্টু" বলে  কান্না শুরু করেছেন । কান্না  শুনে  গম্ভীর মুখে ডাক্তার বাবু  এগিয়ে  এলেন । মানব বাবুর  উদ্দেশ্যে বললেন

ডাক্তার  বাবু  :    এযাত্রা, বুঝলেন মশাই, পেয়ে গেলেন  পার
                       সব ক্রেডিট হলো  গিয়ে  ওই  ছেলেটার ।

বলে  আঙ্গুল  দিয়ে যেখানে তাক করলেন, সেখানে পাশের বস্তির ছেলে ফটকা দাঁড়িয়ে ছিল । আপাদ-মস্তক জলে ভেজা । এবার  ফটকা  বলল  

ফটকা  :   দিলাম ঝাঁপ যখনই ওকে জলের মধ্যে দেখি
              এমনি এমনি কি  আর  সাঁতার  কাটা  শিখি  ?

ফটকার মুখে বীরের হাসি ।  মানব বাবু ও তাঁর  স্ত্রী  যেন কৃতজ্ঞতায় আত্মবিক্রিত হয়ে গেলেন এই বস্তির ছেলেটার কাছে । ওদিকে  বল্টুর জ্ঞান ফিরেছে । 'বাবা' বলে  ডাকতেই মানব বাবু ছেলের কাছে ছুটে গেলেন । বল্টুর মুখে মৃদু কথা

বল্টু  :     সত্যি সত্যি কি  বাবা
           আকাশ পড়ল ভেঙ্গে ?
            চাঁদ তারা এলো নেমে
             আকাশেরই সঙে ?

দৃশ্য ৭ :

মানব বাবুর বাড়ি । আজ নববর্ষ । মানব বাবু আজ  বাড়িতে ছোটো করে অনুষ্ঠান করেছেন । এই বারই প্রথম । পাড়ার ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েদেরকে আজ তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা  হয়েছে । পাশের বস্তি থেকে ফটকা, তার বোন মিছরি, আরও অনেক  ছেলে মেয়ে এসেছে । যে  ঘরে বাচ্চাদের হই হুল্লোর শোনা যাচ্ছিল, মানব বাবু সেই ঘরে ঢুকলেন । দেখলেন, বল্টু  আজ নতুন পাঞ্জাবি পাজামা পরেছে । তার পাশে ফটকা আর মিছরি । ফটকাও আজ নতুন জামা প্যান্ট পরেছে । মিছরি একটা  নতুন লাল টুকটুকে ফ্রক পরেছে । দুই ভাই বোন  কোনদিন এমন ভালো পোশাক পরেনি, এমন ভালো ভালো খাবার পেট পুরে খায়নি । আজ বল্টুর মা সবাইকে  যত্ন  করে  খাইয়েছেন -- পোলাও, মাংশ, লুচি, আলুর দম, আইস ক্রিম, মিষ্টি -- আরও কত  কি ! মাঝে একবার স্বামীর  সাথে  চোখে  চোখ পরে গেছিল । তখন মুখে ফুটেছিল স্বামীর প্রতি তৃপ্তির হাসি ।  বাবাকে দেখতে পেয়ে বল্টু ছুট্টে এসে জড়িয়ে ধরে । বলে

বল্টু :              সত্যি  বটে নব বর্ষ
                   তোমার আমার  সবার !

মানব বাবু  :         তোমার আমার...আর
                       মিছরির  আর  ফটকার ..


আজ বাবা ছেলে একই আনন্দে সামিল । অনেক দিন পর  মানব  বাবু  নিজের  শিরদাঁড়াটা অনুভব করলেন । আর অনুভব করলেন মাথার ওপর অসীম আকাশটাকে ।

পুনশ্চ : ও, একটা  কথা  তো বলাই হয়নি । বল্টুর  ভালো নাম বিবেক ।
 
 

Monday 11 April 2016

দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে

বিদ্যা বলে আমায় দেখ
রবীন্দ্র বলে আমায়,
একদিকে ইডেন ঝলমল
আর এক দিকে অভনী মল,
কিন্তু সুন্দর, তুমি গঙ্গার ওপর থাকো ।

আবার এলো IPL..

আবার এলো IPL,
নতুন Gen-এর ফেয়ারিটেল ।

অফিস ফেরত ডিনার টেবিল
রিমোট আঁকড়ে বসুন,
ছুটির ফাঁকে জার্সি গায়ে,
selfie তুলে আসুন ।

খেলবে বিরাট, খেলবে ধনী
মারবে যখন গেইল,
চোখের সামনে রিয়ালিটি শো
বলিউডও ফেল !

ব্রিজের তলায়, ফুটপাথে শোয়া,
ভুখা পরিবার,
ফ্লাড-লাইটের মজলিশে নাচে
বিদেশী চিয়ার-লিডার !

চেন্নাই ভেঙ্গে গুজ্জু -পুণে
কুন্দ্রা মায়াপ্পান,
কালো টাকার টয়লেট পেপার
 কাদা জলে স্নান !

এঁদো গলির জোনাকিরা
ষ্টার হয়ে যান,
এদের মধ্যে কেউ আবার
SIR উপাধি পান !

চড়বে পারদ, ছুটবে ঘোড়া
চড়বে কাদের দাম,
থীমের তালে ঝরবে যখন
বোলারদের ঘাম ।

বিদ্য -জন নাক সিঁটকে
বলেন "একি ঢপের খেল !"
পথের ধারের ফাস্ট-ফুড আর
কলের কাটা তেল !

আরে কাকু ! গেছে সে সব
ঠুকুর ঠুকুর দিন !
এখন ছক্কা বাজি, টেকনোলজি
আর DJ-র তা ধিন ধিন !

রবি-গুরু, বনের কোকিল
গরম চৈত্র সেল,
নতুন Gen-এর ফেয়ারিটেল
যার নাম IPL ।

শুভ জন্মদিন : মল্লার

প্রিয় স্নেহের মল্লার,
আজ এই শুভদিনে হোক
আনন্দ - ঝংকার ।
বাজুক বীণা, বাজুক বংশী,
বাজুক সুর-বাহার,
তোমার হৃদয়ে আসুক আজকে
সুখের সমাহার ।
জীবন জুড়ে পেয়ো তুমি
হাসির উপহার,
তোমার গলায় পরিয়ে দিলাম
স্নেহের পুষ্প - হার ।
শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও স্নেহাসিষ রইলো ।

Tuesday 29 March 2016

রঙ বেরঙ

আজ দোল, তাই নাকি রঙ মাখতে হয় ।
কোন রঙ? লাল, সবুজ নাকি গেরোযা ?
তাতে কি কিছু আসে যায় ?
আজ নাকি মিলন উত্সব, বসন্ত উত্সব ;
একই সঙে, একই রঙে রেঙে ওঠার উত্সব ।
সত্যি আসে যায়না ?
লাল পার্টির লোকেরা কি সবুজ দিয়ে দোল খেলে ?


পাড়ার রঙ-বাজ -- তার নাকি অনেক রঙ !
তার কি আজ রঙের প্রয়োজন ?
আর যে রঙ-চোরা?
তার ভেতরের গোপন রঙ
কি আজ বিলিয়ে দেয়ার দিন ?
আর যে বহু-রুপী ?
যে  স্রোতের রঙ গায়ে পরে ;
সে কোন রঙে রাঙবে ?

পার্ক স্ট্রীটে CCD র  বাইরে ওই ছেলে মেয়েগুলো
যারা রাস্তায় থাকে,
মাটির রঙ গায়ে মেখে মাটির সাথে মিশে থাকে,
মাটির ওপর দিয়ে হাঁটা লোকেদের দৃষ্টির আড়ালে ।
যারা কাঁচের বাইরে দিয়ে দেখে ভেতরের নীয়নের জগত ;
যারা দরজা খুললে
এক মুঠো AC র হাওয়া পাবে বলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে ।
তারা কি রঙ মেখেছে আজ ?
তাদের রঙে কি পেট ভরে ?
ভরে কি তাদের  মন ?


চারিদিকে ভোটের রঙ ।
আবার সেই রঙ-বাহারি প্রতিশ্রুতি !
আবার সেই রঙ মেলানোর খেলা ।


বাসে করে আসার সময় দেখলাম
রবীন্দ্র ভারতীর ছেলে মেয়ে সবাই
রঙ মেখেছে -- কোন রঙ ?
লাল, সবুজ, গেরোয়া, সব !
এত মেখেছে যে, কাউকে আর আলাদা করে চেনা জানা !
কে সাদা, কে কালো -- আজ সবাই এক !
যেন একই সুরে ঐকতান হয়েছে !

সকালে দোকান গেছি রঙ কিনতে ।
৩ রকম  রঙের প্যাকেট -- লাল, সবুজ,  গেরোয়া ;
জানলাম আজ সবেরই দাম ২০ টাকা !