Tuesday 23 July 2013

ঘরে ফেরার গান

------- (sad melancholic tune) ------------------

যদি চলে যেতে হয়
তবে, কেন পিছে মোড়া
যখন পিছে মুড়বে তখন
কেন চলে যাওয়া ?

যখন দুঃখ পেতে হবে
তখন, কেন সুখের কথা বলা ?
সুখের কথা বলিস তবে
কেন দুখের পথে চলা ?

-------- (change in rhythm; music rises)-----------------

কোথায় রে তোর গীতা কোরান
কথায় রে তোর খোদা ?
ছুটি পাওয়ার জীয়ন কাঠি
তোর ভাবের ঘরে বাঁধা !

পালিয়ে গিয়ে দেখবি যখন
বিশ্ব ভরা ত্রাস,
আপন ঘরে আসবি ফিরে
করবি হা হুতাশ !

ওরে,
আয় ফিরে আয় ঘরে রে তোর
গোলা ভরা ধান,
গলা ভরে সাধিস রে তুই
ভবা খেপার গান ।

ওরে !
আয় ফিরে আয় ঘরে রে তোর
গোলা ভরা ধান,
গলা ভরে সাধিস রে তুই
ভবা খেপার গান ।

 

---------------(music slows down; slow happy tune)-----------------
 
যদি ফিরে আসতে হয়
তবে, কেন চলে যাওয়া ?
যখন আসবে ফিরে তবে
কেন যাওয়ার কথা ভাবা ?

--------------------------(music rises; euphoric tune)

যদি ফিরে আসতে হয়
তবে, কেন চলে যাওয়া ?
যখন আসবে ফিরে তবে
কেন যাওয়ার কথা ভাবা ?









আবার এসেছি ফিরে

আবার এসেছি ফিরে
এই কোপাই নদীর তীরে,
কত সহস্র আলোক বর্ষ পরে
কত ঝঞ্ঝা কত সাইক্লোন বুকে করে ,
কত জড়তা কত শেকল হেলায় ছিড়ে
এলাম শুধু তোমায় পাবো বলে !
আবার এসেছি ফিরে
এই কোপাই নদীর তীরে।


আবার এসেছি ফিরে
এই কোপাই নদীর তীরে
যেখানে হাতে হাত ধরে
ভাবে ভাব মিলে হতো একাকার
যেখানে হয়ে ছিল ছাড়া ছাড়ি
নির্মম বজ্রাঘাতে
ছিটকে পরেছিলাম দুজনে
হাজার পৃথিবী দূরে ।
তাই আবার এসেছি ফিরে
এই কোপাই নদীর তীরে ।

সেদিন পেয়েছিলাম তোমায়
কত অচেনা মুখের ভিড়ে,
যেমন পায় শ্রমিক
নিকষ আঁধার মাঝে
একটি আসল হীরে !
যেমন পায় পথ হারা
নাবিক হাজার নক্ষত্র মাঝে
একটি ধ্রুব তারা ।
তোমায় ফিরে পাবো বলে
আবার এসেছি ফিরে
এই কোপাই নদীর তীরে ।

যদি নাই বা আসবে ফিরে
এই কোপাই নদীর তীরে
ফুল হয়ে ঝড়ে পরবো আমি
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে !
আমায় কুড়িয়ে নীয় তুমি
নিজের অঞ্চল ভরে !
সুবাসে সুবাসে গাইব
আমি মিলন রাগের সুরে --
এই তো এসেছি ফিরে
 এই কোপাই নদীর তীরে ।।









Tuesday 16 July 2013

রকবাজের গান

চলে যাচ্ছি চলে যাচ্ছি
ফিরে আসবো না, আসবো না 
ভালো বাসব না, বাসব না  ।

আড্ডা মারার সেই গলি
গানের টুকরো টুকরো সেই কলি
সব ফেলে যাচ্ছি, চলে যাচ্ছি
ফিরে আসবো না, আসবো না 
ভালো বাসব না, বাসব না  ।

বড় লোকের সেই মেয়ে
যাকে দেখে উঠতো দিল গেয়ে
একবারও যে হাঁসলো না, আমার পানে চেয়ে
যে খেললো ছিনিমিনি  আমার এ মন নিয়ে !
তাকে ফেলে যাচ্ছি, চলে যাচ্ছি 
ফিরে আসবো না, আসবো না 
ভালো বাসব না, বাসব না  ।
 
করে তোদের সবার সাথে আড়ি 
হাজার বছর দেবো পাড়ি
জানি চলে যাওয়া দরকারি
তাই
চলে যাচ্ছি চলে যাচ্ছি
ফিরে আসবো না, আসবো না 
ভালো বাসব না, বাসব না  ।

যদি আদর করে কেও ডাকে
(whistle)
তার মনের দেয়ালে আমার ছবি আঁকে ??

(musical pause)

ফিরে আসবো, ফিরে আসবো
তাকে   
ভালো বাসবো, ভালো বসবো
আপন করে
ভালো বাসবো, ভালো বসবো 

ফিরে আসবো, ফিরে আসবো

ভালো বাসবো, ভালো বসবো
আপন করে
ভালো বাসবো, ভালো বসবো  ।।।



Sunday 14 July 2013

ডাউনলোড

"Left leg first, then the right leg !
Turn around ! Slowly!..
Move forward !...
Relax!..."

আমি আমার আসন এর উদ্দেশ্যে প্রস্থান করিতেছিলাম ।  সহসা এই রোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর কথামালায় আঘাত খাইয়া যার পর নাই বিস্মিত হইলাম ! নয়ন মেলিয়া দেখিলাম এক অভূতপূর্ব অনির্বচনীয় দৃশ্য ! দেখিলাম আমাদের শ্রীমান সৌপর্ণ আদর্শ প্রশিক্ষক এর ন্যায় আদেশ দিতেছে ; আর ট্রেন এর উচ্চতম berth এ অবস্থিতা দুর্দম কৃষ্ণাঙ্গি  তরুণী বাধ্য শিষ্যার ন্যায় উহা পালন করিতেছে ! বোধ হয় ইহাকেই বলে ভাগ্যের পরিহাস ! যাহার মধুর আহবান তুমি তুচ্ছ করিয়া চলিয়া গিয়াছিলে  গরজে ; আজ তাহারি হস্তে আপন ভাগ্য সঁপিয়া দিতে হইলো !

আমরা Goa ভ্রমনের পর মুম্বাই এক্সপ্রেসে এ মুম্বাই ফিরিতেছিলাম । আমাদের অনেকের ticket একই জায়গায় কাটা হইয়াছিল ! একটি cancel  করিবার ফলে যে শুন্যস্থান সৃষ্টি হয়, তাহা যে এই ভাবে পূরণ হইবে আমরা ধারণা করিতে পারি নাই ! দেখি সেখানে এক কৃষ্ণ বরনা আসিয়া বসিয়া আছে । প্রথম সাক্ষাতেই মনে হইলো উহার মাতৃদেবী জন্মের পর ভুল করিয়া উহার মুখে মধুর পরিবর্তে লঙ্কা দিয়াছিলেন ! প্রথমেই সে নিজ পাদুকা কোথায় রাখিবে সে বিষয়ে প্রবল ব্যগ্র হইল । অতঃপর  আমাদের কাহারও একজনের upper berth চাহিয়া বসিল । আমি সহৃদয় এর মত তাহা অবিলম্বে  তরুনীর ঝুলিতে দান করিলাম !
কিয়ত কাল পর কৃষ্ণা উপরে উঠিবার প্রচেষ্টায় রত হইলেন । অর্থাত upper berth এর উপর । ইহাতে বিস্ময় এর কারণ দেখিনা । নারীর ধরন বাষ্পের মতন । উভয়েই উর্ধমুখী ! মাথায় ওপর চড়িতে উহাদের তুলনা নাই । প্রথমে ওপরে চড়িয়ে বসেন । পরে বিপদ উপস্থিত হইলেই অশ্রু হইয়া বর্ষিত হন । অতএব উত্তরণ নারীর ধর্ম । তাহার জন্যে উহাদের কোনো দোষ নাই । অগ্নির ধর্ম দাহন করা । দাহ্য পাইলেই দাহন করিয়ে তবে খান্ত হন ।  ইহাই প্রকৃতির নিয়ম । আর নিজ ধর্মের বিরুদ্ধ আচরণ আমাদের সমাজে বিশেষ ভাবে নিন্দনীয় । নারী অনিন্দিতা ! বিশেষ করিয়া তিনি যদি যুবতী  হন !

যাহাই হউক, তনয়া upper berth এ  চড়িবার জন্যে সচেষ্ট হইলেন । কিন্তু এই কার্য সহজে সমাপ্য ছিল না ।  দেবী বার বার চেষ্টা করিতেছিলেন, এবং বার বিফল হইতেছিলেন !  ইহাতের আমাদের সৌপর্নের পৌরুষ জাগিয়া উঠিল !  সেই মুহুর্তে ওই মহাপুরুষের আদম্য নিশ্সার্থ সমাজ সচেতনতা উহার অন্তরে প্রবল ঘা দিতেছিল । অবলা অসহায় তনয়ার বিপদে ওনার হিতার্থে মৃদু কন্ঠে বলিল
                                                  "Do you need help?"
আমি মনে করি ইহা মহত প্রচেষ্টা ।  নারীর উত্থানে বহু মনীষী বিশেষ কৃতিত্বের সাক্ষ্য রেখে গেছেন । আমাদের সৌপর্ণ ও একই প্রচেষ্টায় লিপ্ত ।  কিন্ত দুর্দম মারাঠিনি এই অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া একাই উঠিয়া গেলেন !।  দর্শক মন্ডলী একাগ্র চিত্তে এই উত্তরণ নিরীক্ষণ করিতেছিলেন । হঠাত সম্বিত হইলো কৃষ্ণা আজানু লম্বিত বসন পরিয়া আছেন ! তাই আর শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণকলির উত্থানের গতিপথ লক্ষ্য করা গেল না । berth এ উঠিয়াই নব-জলধর-বরনার অঙ্গে শুভ্র মেঘের প্রলেপ পরিল । সাদা চাদর মুড়ি দিয়া মেয়ে ঘুমাইয়া পরিল । কালো চুলের এক গুচ্ছ সাদা চাদরের ফাক হইতে দেখা গেল । ইহা যেন সলতা, বিস্ফোরকের অঙ্গ হইতে নির্গত হইয়া তরুণ পুরুষ হৃদয় এ বিপ্লব সৃষ্টি করিতেছিল ! সলতার মুখে কেবল অগ্নি সংযোগের অপেক্ষা ! করিলেই বিস্ফোরণ  !

বিস্ফোরণ  হইলো না । তবে যাহা হইলো তাহা বিস্ফোরণের চেয়েও রোমাঞ্চকর !

দদুল্যাময়ী  ট্রেন, দদুল্যময়ী শ্যামা upper berth এ । যেন ঝুলন এর আবেশে রাই এর তনু মন ঘন ঘন আন্দোলিত হইতেছে ! রাধিকা উপরে বসিয়ে দুলিতেছেন । নিচে আমাদের কানাই মুরারী মুগ্ধ হইয়া তাহা অবলোকন করিতেছেন । তবে কলি কালের রাধা কালো আর কৃষ্ণ সুভ্র ! সেই সাদা কালোর মিলনে কত শত রঙের বিচ্ছুরণ ঘটিয়া  থাকে সে বিষয়ে সবাই অবগত আছেন ! শেক কবির Romeo - Juliet এর সেই দৃশ্যের কথাও নয়নে ভাসিয়ে ওঠে, যেথা শ্রীমান romeo নিচে বাগানে বসিয়া চন্দ্রিমার সহিত বারান্দায় অবস্থিতা juliet এর তুলনা করিয়াছিলেন । এখানে বারান্দা নাই, বাগানও  নাই । আছে berth আর চলন্ত ট্রেন এর কামরা । আছে বঙ্গ সন্তান আর মারাঠি ললনা ।  আর আছে নির্লজ্জ বেহায়া দর্শক মন্ডলী !

ইতি মধ্যে অয়নদার মধ্যে ভাব এর জগরণ ঘটিয়াছে । তাহার কন্ঠে শ্যামাসঙ্গীত খেলিতেছিল । এই ভাব মাতৃভাব সন্দেহ নাই । কিন্ত এই মাতা অবশ্যই নিজের নয় । সম্ভবত নিজের ভবিষ্যত প্রজন্মের ! তাহার মনের ভাব গুলি লিখিতে চাইলে কথ্য ভাষায় লিখিতে হইবে । এবং সেগুলি নিতান্তই অকথ্য হইবে ! আমরা এখানে মহত উদ্দেশ্যে উচ্চ্য ভাষায় উচ্চে আবস্থিতার কথা আলোচনা করিতেছি । এবং নিতান্তই সুদ্ধ মনে এই অদ্ভুত ঘটনা হইতে জীবনের অমোঘ জ্ঞান আহরণ করিতেছি !

ইতি মধ্যে জিয়াদা ও প্রসেনজিতদা সৃষ্টির এই অতুলনীয় ঘটনা দর্শন করিতে উপস্থিত হইয়াছে । উভয়েই একই সাথে বিস্মিত ও পুলকিত হইয়াছে । জিয়াদা কন্যাটিকে তির্যক দৃষ্টিতে পরিক্ষা করিয়াই আমার পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিল । ভাবখানি এই  - " আমি কি আর নিজের জন্যে দেখিতেছি রে পাগলা ? তোর পাশে কেমন মানাইবে তাহাই ভাবিতেছি মাত্র !"  প্রসেনজিত দার মুখে মৃদু মৃদু হাস্য খেলিতেছিল । প্রসেনজিতদার মা-বাবাও পুলকিত হইতেছিলেন । ওনারা না থাকিলে আমি অবলা নারীটির মনোবল বর্ধনের প্রচেষ্টা করিতাম । তবে মহানুভব সৌপর্ণ যেখানে একাই এই গুরু ভার আপন স্কন্ধে গ্রহণ করিয়াছে, তখন অতি সন্যাসী তে গাজন নষ্ট করিয়া লাভ নাই !

আসলে নামিবার সময় হইয়াছিল মহা বিপদ ! তরুণী নামিতে গিয়া দেখে কোনো অজ্ঞাত কারণে সে নামিতে পারিতেছে না ! তখনি সে কাতর হইয়া বিষ্ণুর দশম অবতার এর সরনাপন্ন হইয়া পরে ।  ভক্তের ডাকে সারা না দিয়া ঈশ্বর কি থাকিতে পারেন ?

কৃষ্ণকলিরও তাহার  নিম্ন বস্ত্রের পরিমান সম্বন্ধে সচেতন হইলো নামিবার প্রথম প্রচেষ্টাতেই ! এক হস্তে  সে berth এর rod  ধরে, অন্য হস্তে skirt সামলায় ! ফলে প্রথম বার তার মুখমন্ডলে তেজ এর বদলে বেথা অনুভব করিলাম । তাহা দেখিয়া মহাত্মা সৌপর্ণ আরও মধুর ভাবে উহাকে নির্দেশ দিতে লাগিল । প্রথমে মেয়েটির প্রথম চরণ rod এ পরিল, তার পর আরেকটি । এই করিয়া দেবী নামিতে লাগিলেন । আহা সে কি দৃশ্য ! পাহাড়ের গা বাহিয়া যেন কালো ঝরনা নামিয়া আসিতেছে ।  মনে হইতেছিল, নিখিল বিশ্ব চরাচর যেন সমস্থ কর্ম ভুলিয়া এই নয়নাভিরম ঘটনা অবলোকন করিতেছে ! দেব, গন্ধর্ব, কিন্নর সবাই  যেন এক নিশ্বাসে এই ঘটনার মহাসমাপ্তির জন্যে অপেক্ষা করিতেছে !

অবশেষে সেই দৈবক্ষণ উপস্থিত হইলো ! সেই দুর্দম দুর্বিনীত নারী আজ পরাভূতা ! সকল অভিমান ভুলিয়া শান্ত বালিকার ন্যায় সে boggy র ভূমিতে অবতীর্ণ । অর্থাত "DOWNLOAD COMPLETE !"

সৌপর্নের জন্যে গর্বে আমাদের বুক সহস্র হস্ত ফুলিয়া উঠিল ! মনে হইতেছিল যেন তিন ভুবন জুড়িয়া শঙ্খ ঘন্টা কাঁসর বাজিতেছে ! দেবতারা স্বর্গ হইতে পুষ্পবর্ষণ করিতেছেন !  কল্পতরু শ্রী রামকৃষ্ণদেব পতিতাদের উদ্ধার করিয়াছিলেন । কিন্তু কোনো নারীর অধোপতন ঘটাইয়া তাহাই উদ্ধার এর কীর্তি এর পূর্বে বোধ করি কোনো মহামানবই করিতে পারেন নাই ! এই ঐতিহাসিক কীর্তির সাক্ষী হইলো মুম্বাই এক্সপ্রেসের এই কামরা । আমার মনে হইলো করতালি দিয়া সহাস্যে দুই জন কে অভিনন্দন জানাই । কিন্তু ইহাতে সবাই কি পরিমান অপ্রস্তুত হইতে পারেন তাহা ভাবিয়া বহু কষ্টে নিজেকে নিবৃত করিলাম ! সদ্য উধৃতা রমনী কোমল নয়নে তার পরিত্রাতা পুরুষ এর পানে চাহিলেন । ততোধিক কোমল মধুর বাক্য তার মুখপদ্ম হইতে নিসৃত হইলো - "Thank you " ! সৌপর্ণ দিগ্বিজয়ী বীর এর মত তা গ্রহণ করিল!  আমরা তাহা দেখিলাম ! নিতান্ত নিষ্পাপ চিত্তেই, বলাই বাহুল্য ! 


Saturday 13 July 2013

প্রকৃতি : আমেরিকা যাত্রার প্রাক্কালে



হে সুদূরের পথচারিনী !

 
উড়ে যেও তুমি পুষ্পক রথে চড়ে       
 সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ে ;
চিত্ত ব্যাকুল সদাই তব সুদূর প্রিয়ার তরে
বেঁধে নেবে সে তোমায় আপন বাহুডোরে
জ্ঞানের ডালি ভরে নিয়ে তুমি আসবে যবে ফিরে
বরণ করে নেবো তোমায় এই বঙ্গ মায়ের নীড়ে ।।


শুভেচ্ছা,
কৃপা দা

Saturday 6 July 2013

নিঃসঙ্গতা

হাজার মানুষের ভিড়ে
একা রিক্ত নিঃসঙ্গ মন !
হাজার বছর সম কাটে জীবনের প্রত্যেক ক্ষণ ।

কর্ণ ভেদী নিরবতা,
নিজের সঙ্গে নিজেরই ব্যর্থ সংলাপ ।
প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে বার বার
বন্ধ দুর্গের প্রাচীর থেকে
উন্মাদ নিষ্ফল প্রলাপ ।।
 

জিয়াদা : টুকরো কথা



                          ১

মোদের স্মৃতিপটে লেখা রবে তব নাম স্বর্ণাক্ষরে,
এই উপহার খানি রেখো সযতনে আপন কোরে ।
 
 
                           ২


বিদায় বল না, বল সুধু আসি 
সদা অমলিন থাক তোমার মুখের হাঁসি ।