Sunday 29 September 2013

কেন চলে গেলে ?

কেন তুমি এলে ?
যদি বা এলে
এমন তুষের আগুন জ্বেলে
কেন চলে গেলে ?

আমার পেয়ালা ছিল খালি,
ভেবেছিলাম
সারা জীবন কাটাবো অদৃশ্য মদিরা পিয়ে,
কিন্তু
তুমি এক ফোঁটা সোমরস ঢেলে,
চির তৃষ্ণার্ত করে,
কেন চলে গেলে ?


আমার একাকিত্য ভরিয়ে দিয়ে
আবার একা করে,
কেন চলে গেলে ?

স্বপ্ন

এক মুঠো স্বপ্ন ধরতে চাই
আকাশের নীলে
অনন্তে, অসীমে, অনাবীলে ।
 
স্বপ্নখানি রেখে দেব
বুকে করে
মনের কোঠরে ।
 
স্বপ্ন আমার ছোটো,
সবে পালক গজিয়েছে
আসতে আসতে গজাবে ডানা
সেই ডানায় চরে
সে যাবে উড়ে,
কত আলোকবর্ষ দূরে ।
সেই অজানা গ্রহে
যেখানে স্বপ্ন মেলে
বাস্তবের বাহুডোরে ।

রঙ

গোধুলির রঙ লাল
ফাগুনের রঙ লাল,
আর লাল
গোলাপ ফোটা
তোমার সিঁদুর মাখা গাল ।

আকাশের রং নীল
গভীর জলের ঝীল
আর
নীল তোমার অঞ্চল,
যার আড়ালে খেলা করে তোমার হাঁসি অনাবিল ।

প্রকৃতির রঙ সবুজ,
আবিরের রং সবুজ,
আর সবুজ ওগো
তোমার মিথ্যে ঈর্ষা অবুঝ ।

রাতের রঙ কালো,
মেঘের রঙ কালো,
আর কালো
তোমার ডাগর চোখের কাজল,
তার মায়ায় আমার মনে প্রেমের প্রদীপ জালো  ।

নানা রঙের রঙমহলে
পাই তোমায় বারে বারে
পাই তোমায় শতরূপে,
পাই তোমায় আপন করে ।

খুঁজেছি তোমায়

খুঁজেছি তোমায় একা একা
পাইনি তোমার দেখা ।

খুঁজেছি তোমায় রাজপথে,
গলির মোড়ে ,
পূর্নিমা রাতে,
শরতের  ভোরে ।

খুঁজেছি তোমায় এঁদো বস্তিতে,
লাল আলোর মস্তিতে,
খুঁজেছি তোমায় বাউলের গানে,
ভরা কলকের টানে ।

খুঁজেছি তোমায়
ঘূর্ণির বাঁকে,
খুঁজেছি তোমায় দুর্বিপাকে ।
 
খুঁজেছি তোমায় আকাশের নীলে
অসীমের অনাবীলে ।

শুধু একবার হয়েছিল দেখা
কোন অজানা পথের তীরে
তোমার অতল চোখ দুটি
দেখেছিলাম এক মুহুর্তে
যেন চেয়ে আছি তাদের দিকে হাজার শতাব্দী ধরে ।
তারপর তুমি হারিয়ে গিয়েছ ভীরে
হারিয়ে গেছ সময়ের গভীরে ।

তারপর
খুজেছি কত তোমায় একা একা,
পায়নি তোমার দেখা ।

তবু আশায় বুক বেঁধে
খুঁজে চলেছি তোমায়
কি নিবিড় অক্লান্ত আশায় ।

coder এর জীবন

যেই দেখি মনিটর জানবো বলে রেসাল্ট,
দেখি তোমায় --
প্রানের সখী, ওগো  segmentation fault !
ওরে আমার চাঁদবদনি, ওরে আমার error,
তোকে গড়িয়ে দেব নাকের নোলক, গড়াব চন্দ্র হার ।
যদি একবার বলিস কি পথে আমায় দিবি নিস্তার !

কম্পাইলার এর তাওয়ায় বসে ধূমায়িত প্রাণ,
গন গন করে চলে যায় অন্তবিহীন run ।

বস্তা বোঝাই রিপোসিটোরি, তোড়ায় বাঁধা ভুল,
গন্ধমাদন data-এর নিচে পাইনা কেঁদে কূল ।

মেশিনের উত্তাপ ঘাম ঝরে টপ টপ,
ভেজে চুল, কুল কুল, ভিজে যায় ল্যাপটপ ।


এইভাবে চলে মেমরি নিয়ে খেলা,
প্রসেস চলে অশেষ পথে কেটে যায় বেলা ।

এইভাবে বয়ে যায় coder এর জীবন,
কষ্ট হলেও এতেই মেলে বাঁচার ইন্ধন !

Saturday 28 September 2013

আমি রিসার্চার

আমি এক আজব জীব,
জুরি মেলা ভার !
lab এর কোণে মুখ ডুবিয়ে দেখি চোখে অন্ধকার,
আমি  রিসার্চার !

মনের মাধুরী মিশিয়ে ভাবি
করব কত আবিষ্কার,
সাপ বেঙ মিলিয়ে করব
এক বিদঘুটে মিক্সচার !
আমি  রিসার্চার !

হতাশায় হাবু ডুবু খাই,
আর অন্যকে দি জীবন বোধের লেকচার ।
স্বপ্ন জীবন গুলিয়ে ফেলে
করি হাহাকার !
আমি  রিসার্চার !

হাঁসছ বুঝি? করছ হ্যাঁটা? হচ্ছে বুঝি মায়া ?
নাকি মনে মনে ভাবছ আমায় ধুমকেতুর ছায়া ?

অতল আঁধার মাঝে করি আলো খোঁজার কাজ,
ব্যর্থ হলেও শ্রমজীবি ! নেই গো কোনো লাজ !

একদিন খুঁজে পাব সেই পরশ মনি,
সেদিন হব আমি সবার চেয়ে ধনী !

দেখবে আমায় তখন তুমি চোখ দুটি চেয়ে,
সেদিন হব আমি সুখী সবার চেয়ে !

নতুন গানে বুক বেঁধে হব আবার সোচ্চার
মুছে যাবে বেথা, ঘুচে যাবে সব অন্ধকার ।

করব সেদিন বিশ্বজয়,
করব সেদিন সব বাধা হেলায় চুরমার ! 
আমি তৃপ্ত, আমি দৃপ্ত, আমি  রিসার্চার !

Thursday 26 September 2013

কিছু অভিমান রেখো বাকি

কিছু কথা থাক বাকি,
কিছু বেথা থাক বাকি ।
সব বলা হয়ে গেলে,
সব জ্বালা জুড়িয়ে গেলে,
জীবন ফুরিয়ে যাবে,
মিলন ফুরিয়ে যাবে ।

কিছু চোখের জল রেখো বাকি,
কিছু অভিমান রেখো বাকি,
আবার যখন হবে দেখা
হবে আলাপ স্মৃতিমাখা,
খুলে দিও দ্বার,
ভেঙ্গে দিও বাঁধ,
ভিজিয়ে দিয়ে আমার কাঁধ,
জমা বেদনা ঝরিও যত খুশি ।

কিছু সুখ রেখো বাকি
কিছু তৃপ্তি রেখো বাকি,
এখনো কত পথ চলা আছে বাকি ।
এখনো কত কত কথা বলা আছে বাকি ।।

তোমার মুখের হাসি

শরতের ভোরের চেয়েও সুন্দর তোমার মুখের হাসি ।
মনের গভীরে বাজে ঘন ঘন অজানা মধূর বাঁশি ।
নিজেকে বিকিয়ে দিতে পারি
নিজেকে নিঃশ করে হতে পারি বনবাসী
যদি কিনতে পারি ওই ভুবন ভোলানো হাসি ।

Tuesday 24 September 2013

অনুতাপ

সেই আধ খাওয়া সিগারেটের দিব্বি !
যা ঝরে পড়েছিল পোড়া ঠোঁট থেকে ।
তোমার মাতাল করা আতরের দিব্বি !
যা যোগাতো মৃত্যুর ইন্ধন ।
চাইনি তোমায় ব্যথা দিতে !
শুধু চেয়েছি তোমার সব জ্বালা শুষে নিতে !
কিন্তু
সেই অসহায় মুহুর্তে
আমার সেই বিষাক্ত ছোবলের মত কথা
যা তোমায় করেছিল নির্মম আঘাত !
যার ধাক্কায় আমরা ছিটকে পরেছিলাম
সহস্র সৌরজগত দূরে !
সেই বিষে আমার কলজে পুড়ে গেছে
ঝলসে গেছে পাঁজর !
রক্ত ঝরে ঝরে জমাট বেঁধে গেছে,
লাল ইমারত গড়েছি ভাঙ্গা স্বপ্নের !

কালো বিপ্লবের মত তোমার চুলের ধারা
যা ঝরে পরত আমার মুখে আষাড়ের বৃষ্টির মত ।
লেলিহান শিখার মত তোমার ঠোঁট
যা থেকে চুঁয়ে চুঁয়ে পরত হাজার পেয়ালার মাদকতা --
তার দিব্বি !
চাইনি তোমায় ব্যথা দিতে !
শুধু চেয়েছি তোমার সব জ্বালা শুষে নিতে !
কিন্তু এক লহমার ব্যভিচারে,
ঝরে গেছে ঠোঁটের সিগারেট,
সুখের মতো,
যে জলছে একা একা সেই বিকেলের ঘাসে ।
তুমি চলে গেছ Hamlin এর বাঁশির মত
নিয়ে গেছ সব আশা, সব বিশ্বাস ।
শুন্য করে বুকের পেয়ালাখানি !
Cerberus আমায় নিয়ে গেছে টেনে
নরকের যন্ত্রণা ঘরে !
ফুরিয়ে যাচ্ছি আমি,
তোমার আর না বাজা নূপুরের ছন্দে !
তোমার হারিয়ে যাওয়া আতরের গন্ধে ।।  

এখনি যেওনা চলে

এখনি যেওনা চলে,
কত কথা আছে বাকি,
এখনো রাজানিগন্ধায়  সুরভি আছে গো বাকি,
এখনো প্রদীপ শিখায় আঁচ আছে গো বাকি !

মনে মনে বেঁধেছি যে গান
তোমায় শোনাবো বলে,
সে গান শোনানো আছে গো বাকি ।
কথায় কথায় গেঁথেছিলাম যে মালা
তোমায় পরাবো বলে,
সে মালা পড়ানো আছে গো বাকি ।

এখনি যেওনা চলে,
কত কাজ আছে গো বাকি !

সময় বয়ে যাবে,
জীবন ফুরিয়ে যাবে ।
আসবে না  ফিরে এই মধু যামিনী, হে সখী !
এখনি যেওনা চলে,
এখনো যৌবন আছে গো বাকি ।
প্রেমের স্পন্দন আছে গো বাকি ।।

Saturday 21 September 2013

কি করে বোঝাবো তোমায়

কি করে বোঝাবো তোমায়
কি সুখে পুড়েছি আমি তোমার বিরহ জ্বালায় !
কি করে বোঝাবো তোমায় !

কি করে বোঝাবো তোমায়
কেন অছিলায় বারে বারে তোমার কাছে আসি
কি করে বলবো তোমায়
মনে মনে তোমায় কত ভালবাসি  ।

বারে বারে ভাবি
এবার যখন হবে দেখা তোমার সাথে ।
খুলে দেব মনের দুয়ার 
বলবো মনের সকল কথা ।
সযত্নে লালিত গোপন প্রেমের গাথা ।

কিন্তু যখনি দেখি তোমায়
ওই রূপ সর্বনাশী !
তোমার ওই নিঃশেষ করে দেওয়া হাসি ।
কথা হারিয়ে যায়
কে জানে কোথায় !
বলা হয়না,
শুধু দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ফিরে আসি ।


ভয় হয়,
যদি এই নিবেদন
না কর গ্রহণ
যদি নির্মম ছলে
ভেঙ্গে যায় স্বপন !
তাই
আপন সুখে জ্বলি ।
যেমন জ্বলে পতঙ্গ
পোড়ে তার ডানা
এক এক করে ।
তেমন জ্বলি আমি
তোমার বিরহে ।
জ্বলে আগুন সর্বগ্রাসী !



যদি কখনো জানতে পারো
এই গোপন  মনের কথা
এই একলা প্রিয়ের গভীর মর্ম ব্যথা ;
যদি আপন না করতে পার মোরে
দু ফোঁটা অশ্রু জল
ফেলো আমার সমাধি 'পরে
সার্থক হবে তোমায় ভালবাসা ।
তৃপ্ত হবে কত অতৃপ্ত আশা ।।

গঙ্গার তীরে

চলো চলে যাই সেই গঙ্গার তীরে,
এত ভিড়, এত জটিলতা থেকে বহু দূরে ।
শুধু তোমায় আমায় মিলে ।
বসে রব একা একা,
নরম ঘাসের 'পরে ।
যেখানে  গঙ্গা বয়ে যায় আপন মনে,
যেখানে সেই ব্যাকুল করে দেওয়া পাখিটা ডাকে বড় মধুর করে ।

যেখানে তোমার হৃদয়ের কোণে জমে থাকা
সব ব্যাথা সব অভিমান মেলে দিও উজাড় করে ।
সব জমা কথা বয়ে যাক অশ্রু হয়ে
আমি মুছে দেব সে জল যতন করে ।
তারপর বৃষ্টি-ধোয়া হাসি ফুটবে তোমার মুখে
দেখব আমি প্রাণ ভরে ।

তুমি বলবে কত কথা
হবে কত খুনসুটি ।
আমি অন্যমনস্ক হলে
তুমি ধানের শীষ দিয়ে কানে সুরসুড়ি দেবে,
ধরমরিয়ে উঠবো আমি,
আমায় দেখে তুমি হাসিতে গড়িয়ে পড়বে ।
তখনি সহসা হাতে হাত ঠেকে যাবে !
তোমার মুখে গোধুলির রঙ জাগবে !
আমি ধীরে ধীরে বলব আমার মনের মধুর কথা
তোমার চোখে চোখ রেখে ।
তুমিও বোলো ফিসফিস করে কানে কানে
ভরে উঠবে বিকেল অজানা অশ্রুত গানে,
সে গান আমি রেখে দেব মনে, বড় সোহাগ ভরে ।

যদি আবার মন চায়
ওই গঙ্গার তীরে যেতে,
ছুটে যেও তুমি একাকিনী,
দেখবে,
তোমার স্মৃতির ছোঁয়া আঁকড়ে বসে আছে একজন
যে তোমার কত আপন!
আবার হবে কত কথা
সেই গঙ্গার তীরে ।

Tuesday 17 September 2013

শুভ জন্মদিন : দীপাদি

দীপাদি,

তোমার জন্মদিনে,
শুভেচ্ছার ডালি উজাড় করে দিলাম,
যদি কর অভিমান,
তবে তোমার সব রোষ মাথা পেতে নিলাম ।
তোমার মুখে ফুটুক হাঁসি -- এই ছিল কামনা,
তাই,  জানি এই তুচ্ছ স্পর্ধা করবে তুমি ক্ষমা ।

আছে যত আশার মুকুল তোমার নিভৃত মনে,
ফুল হয়ে উঠুক ফুটে তোমার জীবনে ।

আধ লেখা কলি যত ছিল গোপনে,
সুরে সুরে উঠুক গেয়ে আজ এই শুভ দিনে ।

এই সামান্য উপহার খানি নীয় আঁচল ভরে,
জন্মদিনের প্রীতি টুকু নীয় আপন করে ।

জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো ।

--

কৃপা 

Saturday 14 September 2013

অভিমান

তুমি অভিমান করতে পারো,
অভিমানে গান ফুলিয়ে গোঁসাঘরে বন্ধ হয়ে থাকতে পারো ।
কারণ,
জানো কেউ আসবে তোমার রাগ ভাঙ্গাতে ।
তোমার ঘরের কপাট খুলে,
মমতা মাখা সোহাগে বলতে "আয় মা, এবার দু মুঠো খেয়ে নে" !
কিন্তু পাড়ার দোকানের সেই পল্টু ?
যে টেবিলে  টেবিলে চা দিয়ে যায়,
মালিকের মুখ খেয়ে যার পেট ভরে ।
সে পারেনা অভিমান করতে !
কারণ
সে জানে 
কেউ আসবেনা তার রাগ ভাঙ্গাতে !
মমতা মাখা সোহাগে তার খিদে মেটাতে !

তুমি কাঁদতে পারো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে,
কারণ,
জানো কেউ আসবে তোমায় বুকে টেনে নিতে,
তোমার সব অশ্রু আঁচলে শুষে নিতে ।
কিন্তু ফুটপাথের সেই ছেলেটা ?
যার কতো নিস্ফল কান্না ঝরে গেছে,
মিশে গেছে রাস্তার ধুলোতে !
সে কাঁদতে ভুলে গেছে
কারণ,
কেউ আসেনি তাকে বুকে টেনে নিতে
তার অশ্রু আঁচলে শুষে নিতে!

তুমি কষ্ট পেতে পার
কারণ,
তুমি জানো কেউ তো আসবে,
প্রেমের মহলম নিয়ে,
তোমার ক্ষত এ প্রলেপ লাগাতে,
তোমার সব ব্যাথা আপন করে নিতে ।
কিন্তু সেই দীন মজুর ?
সে কষ্ট পেতে ভুলে গেছে
কারণ,
সে জানে,
সে "অাহ্ " বলে গোঙিয়ে উঠলে 
কেউ আসবে না
তার জ্বালা মেটাতে ।
তাকে দু দন্ড সুখের পরশ দিতে !

তুমি অনেক কিছুই পার
সে অধিকার তোমার আছে !
অভিমান করতে
আপন জন কে কষ্ট দিতে !
কিন্তু মনে রেখো  --
আরও অনেক কষ্টে বেঁচে আছে কত মানুষ 
যাদের অভিমানের নেই কোনো দাম,
ঝরে পরে রাত দিন তাদের ঘাম অবিরাম ।
তবু তারা বেঁচে থাকে
আলোর পানে চেয়ে
জীবনের গান গেয়ে ।






Friday 13 September 2013

রাগ

রাগ নয় এ যেন ভোরের রাগিনী,
শিশির ভেজা শরত প্রভাতে হালকা রোদের আঁচ
মধুবনে ময়ূরের পেখম তোলা নাচ
যেন বিশ্বরূপে প্রজ্বলিত ভুবন মোহিনী ।


একি অভিমান ?
নাকি রুদ্রাবীনায় তান !
পাখিদের কুহুতান ।
নাকি কিন্নরীদের গান ?