Saturday 31 May 2014

আহ্বান

হে প্রানেস্বর !
জানিনা তোমার নাম !
তবু জানি ওগো,
তোমারি জন্যে
গড়েছি নিভৃতে
প্রেমেরো অমৃতধাম ।

ওগো হৃদয়নাথ !
শুনে আমারো ব্যাকূল বাণী ;
সাড়া দিও ওগো তুমি !
তোমারি জন্যে
রেখেছি যতনে
আপন হৃদয় খানি ।

আবার বৃষ্টি

প্রতিটি বারি কণা,
যেন কত দিনের চেনা !
যেন কত যুগ কত কাল পর
হয়েছে দেখা এই অচেনা রুক্ষ পৃথিবীতে !
যেন কত দিনের ভোলা সুখ
আবার জেগেছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিরায় শিরায়;
অন্তরের চেতনাতে ;
এই অকস্বাত সাক্ষাতে ।

তোমার প্রেম গো সখী

তোমার প্রেম গো সখী --
যেন সুবাস মাখা চন্দ্রমুখী !

যেন ফুলের কন্ঠ ভরা মধূ,
জ্যোত্স্না রাতে সুধা ঝরা বিধু ।

যেন আশাপূর্না স্বপন,
সোহাগের তৃপ্তিমাখা সমীরন ।

যেন শরত প্রভাতে দুধেল মেঘলা আকাশ,
তপ্ত রুদ্র তেজে প্রথম বরষার আশ্বাস ।

যেন রিক্ত মরু বক্ষে প্রথম ফুলের কুঁড়ি,
একলা বাতায়নে অমল সুখের মঞ্জরী ।

তোমার প্রেম গো সখী --
যেন সুধা ভরা অমরাবতী ।

যখন আমি হই গো দুখী,
দিয়ে তোমার স্নেহের পরশ;
জাগাও জীবন বোধের ভাষা;
জাগে দীপ্তি কাটে আঁধার,
জাগে আলোর অভিলাষা ।
হৃদয় সরোবরে ফোটে
আবার আশার তমরস ।।
 

প্রণয় সফর

ঘুম কেন তোমার চোখে ?
ঘুমিয়ে না ওগো,
ওঠো সখী ওঠো !
চেয়ে দেখো বাতায়ন মেলে;
কি মনোরম মধুক্ষণ গড়েছে প্রকৃতি !
দেখো তীব্র রুদ্র প্রবাহ আর নেই !
কি অপূর্ব মন ভোলানো, সোহাগ বোলানো সমীরণ বইছে ।
কত পাখি ধরেছে মধুর রাগিনী;
কত ফুল বৃষ্টিতে স্নান করে
শৃঙ্গার করেছে ভ্রমরের পথ চেয়ে ।

সাধ বুঝি হয়না ?
এ মধুবেলায়
প্রেমেরো দোলায়
রচিতে মিলন খেলা ?

ওঠো সখী ওঠো !
চেয়ে দেখো বাতায়ন মেলে ।
দাঁড়িয়ে আছি আমি
তোমার হাত ধরে
নিয়ে যেতে তোমায়
প্রণয় সফরে ।

Thursday 15 May 2014

শুভ জন্মদিন : মন্দার স্যার

এসো হে দ্যুতিমান !
নিয়ে তোমার আলোক সোপান,
নতুন দিনের অরুণ হয়ে
নতুন ভাবে উঠো ।
নিয়ে তোমার আলোক কণা,
দৃপ্ত তোমার তেজের ফণা,
নতুন গাছের পাতায় পাতায়
মুকুল হয়ে ফোটো ।
এসো হে দ্যুতিমান !


এসো হে আয়ুষ্মান !
গেয়ে তোমার বিজয় গান,
নতুন ভোরের তৃপ্তি নিয়ে,
নতুন করে হেঁটো ।
ভরিয়ে তোমার ঝুলিখানি,
ছড়িয়ে তোমার আলোর বানী,
যৌবনেরো শিরায় শিরায়
রক্ত হয়ে ছুটো ।
এসো হে আয়ুষ্মান !


এসো এসো জ্যোতিস্মান  !
হৃদয়ের আলিঙ্গনে এসো ।
শুভেচ্ছার মালা পরে
হৃদয় কুঞ্জে বসো ।
এসো এসো জ্যোতিস্মান  !

Friday 9 May 2014

বৃতি

এই মিষ্টি ফুলের দুষ্টু মধু !
নাম কি তোমার বৃতি ?
দেখো,
তোমার জন্যে লিখেছি গো মিষ্টি আবৃত্তি ।

বৃতি সোনা বৃতি সোনা,
তুমি যে গো চাঁদের কণা ।
তোমার মিষ্টি হাঁসির আলসেমিতে
কত স্বপ্নের আনাগোনা ।

এই শিশির ভেজা আলোর কণা !
নাম কি তোমার বৃতি ?
ছোত্ত পাখির মত তোমার ছোত্ত আকৃতি ।

বৃতি সোনা বৃতি সোনা,
মিত্তি তোমার দস্যিপনা ।
তুমি যা খুশি তাই করতে পারো
নেইকো তোমার মানা ।

ফুলের রেণু মাখা পাখির পালক
নাম কি তোমার বৃতি ?
সবার চেয়ে উজ্জল হোক তোমার আলোর দ্যুতি ।

Thursday 8 May 2014

দীপাদির মেয়ে বৃতি

যেমন চাঁদ ঘুমায় মেঘের কোলে,
তেমনি ঘুমাও তুমি,
ওগো ছোট্ট ফুলের মিষ্টি কুঁড়ি,
মিষ্টি তোমার দুষ্টুমি ।

------
টুকি ! ওমা কি মিষ্টি গো তুমি । তোমার নাম কি গো ? সন্ধ্যামণি, নাকি নয়নতারা ? নাকি দোয়েল, কোয়েল, মৌটুসী ?

কীর্তন

প্রেম কুঞ্জবনে
মধু বৃন্দাবনে ।

ফুটিছে কুন্দকলি,
খেলিছে চন্দ্রাবলী ।

উড়িছে ভ্রমরগুলি,
নাচিছে চিত্ত খুলি ।

আসিছে শ্যাম রাই,
খেলিছে প্রেম কেলি ।

গড়িছে রাস লীলা,
ঝরিছে প্রেমাঞ্জলি ।

আসিছে দেবাঙ্গনা,
আসিছে নীলাঞ্জনা ।
গাহিছে মোহন কলি,
রচিছে গীতাঞ্জলি ।

নাচিছে বন হরিণী,
নাচিছে ময়ূর পেখম তুলি ।

নাচিছে কিন্নর
নাচিছে অপ্সরী,
গাহিছে কীর্তন উর্ধে বাহু তুলি ।

ঝরিছে সুধারস বহিছে সমীরন,
দুলিছে তনু মন সকল ব্যথা ভুলি ।
গাহিছে ভূলোক
গাহিছে দ্যুলোক,
বাজিছে বাঁশি বাজিছে কাকলি ।
গাহিছে পাপী
গাহিছে সুজন,
মেখে রাঙ্গা পায়ের ধূলি ।

বাজে কীর্তন,
মজে যৌবন ,
ঝরে পুষ্প রেণু,
ভরে সুখের ডালি ।

নাচিছে শ্যাম
নাচিছে রাই,
খেলিছে প্রেম কেলি ।

প্রেম কুঞ্জবনে
মধু বৃন্দাবনে ।

প্রভাতী

একি সুধাবাণী শুনাইলে এ প্রভাতে,
আনন্দ তরঙ্গ লাগে মোর হৃদয় সৈকতে ;
যেন কত বীণা কত বাঁশুরি বাজে,
কত ফুল স্তবকে স্তবকে ফুটিছে চিত্ত মাঝে ;
আবার আসিবে সেই বেলা,
যখন মিলিব মোরা কুঞ্জবনে,
খেলিয়া রসের খেলা নয়নে নয়নে ;
প্রেম অভিসারে দিও তনু মন মেলি,
হবে নিবিড় গোপন কথা হৃদয় দুয়ার খুলি ।

Tuesday 6 May 2014

এলোকেশী

তোমার নরম হাতের আঙুল,
 যেন সদ্য ফোটা ফুল ;
তোমার শিশির-ধোয়া মুখে
হৃদয়-ছোঁয়া হাসি,
হারা সুখের স্বপ্ন দেখাও
তুমি এলোকেশী ।

শুভ জন্মদিন : টুসু

আজ এই নির্মল প্রভাতে,
এসো গো প্রিয়ে সাজাই তোমায় অপরূপ সাজে ;

তোমার কন্ঠে দিলাম জুই  টগর রজনীগন্ধার মালা,
মাথায় দিলাম গোলাপ কৃষ্ণচুড়ার মুকুট;
হাতে পরিয়ে দিলাম কনক চাঁপার বালা,
কানে সন্ধ্যামনির দুল ।

পায়ে দিলাম কুন্দকলির মল,
নাকে নয়নতারার নাকছাবি ;

চোখে দিলাম আঁধার রঙা কাজল,
মেঘের রঙে সাজিয়ে দিলাম তোমার খোলা কুন্তল;
পলাশ রঙে রাঙিয়ে দিলাম ওই অধর যুগল,
চিবুকেতে এঁকে দিলাম লাল শতদল ।

অঙ্গে তোমার পরিয়ে দিলাম নীল অম্বরী,
নীয় তুমি আঁচল ভরে এ স্নেহাঞ্জলি ।

শুভ জন্মদিন ।।