Thursday 27 February 2014

পাপ

মাঝে মাঝে জাগে কি উত্তাপ,
কালাহারি তাপে কেউটের বিষ মাখানো পাপ ?

জীবনের যাঁতাকলে পিষে নিংড়ে বেরোতে  চায়
চাপা নরকের অবীলতা ।
চাপা ঘেন্না, চাপা ব্যথা,
চাপা কান্নার কথা ।
বিতৃষ্ণা ধরে যায় দৈনন্দিন টানাপোড়েনে,
ভাবো, যদি একটু খারাপ হই
ক্ষতি কি?
আড়ালে আবডালে যদি
লালশা চুবিয়ে নি গোপন অন্ধকারে
ক্ষতি কি ?

ভিড়ে,  ভালো মানুষের মুখোশ খানা পরে
জন অরণ্যের কোলাহল ঠেলে দেখো
সেই হাল ফেশানি বসন এর আড়াল থেকে
উদ্দীপ্ত যৌবন দেয় উঁকি !
মন কি চায়
সেই নীল আব্রুর অন্তরালে
রূপের আঁচ পেতে ?
তার তন্বীর আগুন
অঙ্গে শুষে নিতে ?

জীবনের যানজটে জট পাকিয়ে যায়
চিন্তা, সুস্থ বাঁচার আশা ।
তখন কি চাও
এই নির্মম অক্টোপাস থেকে মুক্তি পেতে,
রসাতলের চুল্লিতে আত্মা ঝলসে নিতে ?
কোকেন শ্যাম্পেন আতরে
রসনা ভিজিয়ে নিতে ?
নরকের কানা গলিতে
স্বর্গের চাঁদ ধরতে ?
একবার বাঁচার নেশায়,
বার বার মরতে ?

করেনা ইচ্ছা ?
নাকি তীব্র লোক লজ্জা,
নোঙ্গর ফেলে রাখে ?
তোমার ভদ্রবেশের পলেস্তরা
খসে খসে স্যাঁতস্যাঁতে নগ্নতা উঁকি দেয় ?
নৈতিকতার শিকল ছিঁড়ে
কি ভেতরের পশুটা
জেগে উঠতে চায় ?

জঠরের আগুন কি পোড়াতে চায়
বড় লোকের রঙমহল ?
কোলের শিশুর মুখে
অন্ন দিতে কি শরম বেচতে হয়
বস্তির অন্ধকারে ?

কত পাপ জমা আছে
মনে নির্লজ্জ ভন্ডামির নামাবলী আড়ালে ?
ভীষণ আবেদনে উন্মাদ হও
গহন মনের অন্তরালে ?

 নৈরাজ্য নৈরাশ্য,
আঁধার রাতের আদিকাব্য !
কে সভ্য, কে অসভ্য ?
কে আদিম কে অমর,
মৃত সুপ্তি বন পিঞ্জর !
মায়ার অন্ধকূপ,
ভাঙ্গা চরিত্র ভগ্ন স্তূপ !

এইভাবে অবচেতনে কখন কোন অজান্তে,
এসে দাঁড়াও সেই খাদের প্রান্তে,
আর এক পা এগোলেই তলিয়ে যাওয়া
জড় তনু মন সেঁকে সেঁকে দেয় শয়তানি কালো হওয়া !

তখনই ... ঠিক তখনই ...
কেউ পেছন থেকে জামার খুট টেনে ধরে,
ঘুরে  দেখো অমনিশার ঘোরে,
এক নিষ্পাপ দেব কন্যে !
যেন সুধায় তোমায়,
আলো ঝরা মুখ মন্ডলে
"কেন তুমি আমায় ফেলে ,
অচিরে যাচ্ছ চলে ?"
এক লহমায় মিষ্টি বজ্রাঘাতে,
ফিরে এলে,
এই আবীর মাখা দেশে !
মায়ের স্নেহের দেশ,
ভালবাসার দেশ ।
ফুল পাখির দেশ
চাঁদ তারার দেশ ।
বিবেক মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়,
পরিয়ে দেয় দীপ্তি জ্বলা বেশ !

যতই মন চায় ব্যভিচারী হতে;
ফিরে এসো বার বার এই পুণ্য স্রোতে,
পরম শান্তি সৈকতে !


No comments:

Post a Comment